কলকাতা: তীব্র শব্দে কেঁপে উঠল সল্টলেকের বিএ ব্লক। একটি গেস্ট হাউসের চার তলার ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করার হল এক দগ্ধ মহিলাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হয়েছে পেট্রোলের বোতল ও দেশলাই। ঘটনাটি ঘটেছে আজ রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ। তীব্র শব্দে শুনে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা।
শব্দের তীব্রতায় ভেঙে পড়ে আশেপাশের বাড়ির জানালার কাচ। বিস্ফোরণের আতঙ্ক দেখা দেয় এলাকায়। খবর পেয়ে আসে পুলিশ ও দমকল। দরজা ভেঙে চারতলার শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হয় দগ্ধ মহিলাকে। ঘোলার বাসিন্দা ওই মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছে এনআরএস হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছেন তিনি। পুলিশের দাবি, মহিলা জানিয়েছেন, তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তীব্র শব্দ কীভাবে হল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিনই হালিশহরের (Halisahar) জগন্নাথ ঘাটে বিস্ফোরণ (Halisahar Blast) ঘটে। বোমা ফেটে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের এক কলেজ পড়ুয়ার। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ঘটনাস্থলে প্রায় আড়াই ফুট গর্ত হয়ে গিয়েছে বলে খবর। গঙ্গার পাড়ে মজুত বোমা থেকেই বিস্ফোরণ বলে অনুমান পুলিশের। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেন্সিক টিম। স্থানী সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে নৈহাটি থানার অন্তর্গত হালিশহর কোনা মোড় গঙ্গার ঘাটে হঠাৎই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনা আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
গঙ্গাপাড়ে হঠাৎই বিস্ফোরণ। যার অভিঘাতে আড়াই ফুট গভীর গর্ত হয়ে গেল রাস্তায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেল এক কলেজ পড়ুয়ার। প্রজাতন্ত্র দিবসের পরদিন এই ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের জগন্নাথ ঘাট এলাকায়। যাকে কেন্দ্রে করে ফের সরগরম উত্তর ২৪ পরগনার রাজনীতি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুপুর সাড়ে ৩টের পর। আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নৈহাটি থানার পুলিশ। মৃতের নাম সুমিত সিংহ। বয়স ১৯ বছর। তিনি ব্যারাকপুর সুরেন্দ্রনাথ কলেজের বাণিজ্য বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
এই ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে রাজ্যের শাসক দল। অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে পদ্ম শিবির।