কলকাতা: সন্দেশখালি-মামলায় (Sandeshkhali Case) সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল রাজ্য। সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল রাজ্য: সিবিআই তদন্ত আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও ধাক্কা খেল রাজ্য। সন্দেশখালির ৩টি মামলায় সিবিআই তদন্তের হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, '৫০ দিন পরেও কেন অধরা ছিলেন শেখ শাহজাহান?' ৪২টি এফআইআরের বিষয়েও জানতে চায় সর্বোচ্চ আদালত। মামলায় হাইকোর্টের কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়ে আপত্তি জানাল রাজ্য। প্রয়োজনে সেই পর্যবেক্ষণ বাদ দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশনের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। এদিন রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়, হাইকোর্টের নির্দেশের জন্যই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যায়নি। পাশাপাশি দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আদালতে জানায় রাজ্য। শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায়, ৫ জানুয়ারি ইডির উপর হামলার ঘটনা পর থেকে কোথায় ছিল শেখ শাহজাহান? ইডির আইনজীবী বলেন, তারা যখন তদন্তে করতে যায়, তখন শেখ শাহজাহান এলাকাতে ছিল। বাড়ির ভেতরেই ছিল। শেখ শাহজাহানের বাড়ির ভেতর থেকেই তালা বন্ধ ছিল। পাশাপাশি ইডির উপর যারা হামলা করেছিল, তাদের পাঠিয়েছিল শেখ শহাজাহান। গোটা ঘটনায় ন্যাজাট থানা, রাজ্য পুলিশ তরফেও তেমনভাবে সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে ইডির আইনজীবীর জানান আদালতে। ইডির আধিকারিকদের বিরুদ্দে চুরি এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফে। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁরা কীভাবে এই ধরনের কাজ করতে পারেন, সেই প্রশ্ন তোলেন ইডির আইনজীবী।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়ায় শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে রক্তাক্ত ও আহত হন ED-র আধিকারিকরা। শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের রোষের মুখে পড়ে আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। গত মাসে গ্রেফতার করা হয়েছে শেখ শাহজাহানকে। তাকে হেফাজতে পেয়েছে CBI। জেরায় একাধিক প্রশ্নেরই মুখোমুখি হতে হয়েছে শেখ শাহজাহানকে।CBI সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের কাছে জানতে চাওয়া হয়,
- ঘটনার দিন সকালে ঠিক কী ঘটেছিল?
- তিনি কখন জানতে পারেন বাড়িতে ED এসেছে?
- বাড়িতে ED-র অভিযানের সময় তিনি কোথায় ছিলেন?
- বাড়ির সামনে শ'য়ে শ'য়ে মানুষের জমায়েত হয়েছিল কার নির্দেশে?
- ED অফিসারদের তাঁর বাড়িতে কেন তল্লাশি করতে দেওয়া হয়নি?
- বাড়িতে কী এমন ছিল যে ঢুকতে দেওয়া হল না ED-র আধিকারিকদের?
- রাজ্য পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আগে, ৫৫ দিন ধরে ফেরার থাকাকালীন কোথায় কোথায় ছিলেন?
- কারা কারা তাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: CPM Meeting: জেলায় জেলায় সভা বামেদের, TMC-BJP-র বিরুদ্ধে সুর চড়াল CPM