পার্থ প্রতিম ঘোষ, সন্দেশখালি: ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali Chaos)। শুক্রবারের পর রবিবারও তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির উপর চড়াও স্থানীয়রা। সিরাজউদ্দিন ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে রীতিমতো ধাওয়া করেন তাঁরা। যদিও অজিত মাইতির দাবি, তিনি কোনও অন্যায় করেননি। যদিও চাপের মুখে সুর বদল শাসক দলের নেতার।        


অজিত মাইতির গ্রেফতারির দাবিতে সরব: রবিবারের সকালে ফের প্রমিলা বাহিনীর বিক্ষোভে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালিতে। শুক্রবারের পর এদিন ফের গ্রামবাসীদের রোষের মুখে বেড়মজুরের তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। রীতিমতো লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করেন মহিলারা। পালিয়ে অন্যের বাড়িতে ঢুকলেন তৃণমূল নেতা। শাসক নেতার গ্রেফতারির দাবিতে বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মহিলারা। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তি।                 


কী বললেন তৃণমূল নেতা? 


এদিন স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান অজিত মাইতি। সেই বাড়ির বাইরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মহিলারা। যদিও তৃণমূল নেতার দাবি, "আমি নির্দোষ। আতঙ্কে ভয় পাচ্ছি। জমি দখলের বিষয় জানতাম না। জ্ঞানত কোনও কেলেঙ্কারিতে যুক্ত নই। কে বা কারা যুক্ত জানি না। ওঁরা আইনের দ্বারস্থ হোক। আইন অনুযায়ী যে সাজা দেওয়া হবে মেনে নেব। আমি কোনও জমি নিইনি। তদন্ত করে দেখুক। যদি নিয়ে থাকি ফেরত দিয়ে দেব। ৭০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি। শুক্রবার যাঁরা আমার বাড়িতে গিয়েছিল সেই ৫ থেকে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। সিরাজ কোথায় জানি না।''


আর রোষের মুখে কার্যত সুর বদল অজিত মাইতির। মারধর করে তৃণমূল আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ তাঁর। এদিন তিনি বলেন, "আমি বিজেপি করতাম। ২০২৯ সালে যখন অঞ্চল তৃণমূলের হাতছাড়া হয়, তখন আমার উপর আক্রমণ করে। এই তৃণমূলের লোকেরাই করেছিল। মারধর করে শাসকদলে নিয়ে এসেছিল। শ্যাম সরকার, তাপস আঁড়ি, কামালউদ্দিন লস্কররা মারধর করেছিল। শেখ শাহজাহান, সিরাজউদ্দিন শেখের নেতৃত্বেই এই কাজ হয়েছিল। ''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: Sandeshkhali Chaos: ফের সন্দেশখালির পথে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম, পথেই আটকাল পুলিশ