কলকাতা: সময় যত এগোচ্ছে, ততই নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকার অঙ্কের সংখ্যা বাড়ছে। প্রকাশ্যে আসছে একাধিক নাম, একাধিক যোগসূত্র। এই আবহে এদিন আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি। জানান হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২টি ফোন পাওয়া গেছে, তা আসলে সোনার খনি, খতিয়ে দেখতে হবে। কেস ডায়েরিতে এমন এমন নাম, সব দেখলে চমকে যাবেন। 



এদিন ইডি এও জানায়, ১০০, ২০০ নয়, রাজ্যে স্কুলে নিয়োগে ৩৫০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে। তারা বলে, আগে মনে হচ্ছিল ১১১ কোটির দুর্নীতি, এখন মনে হচ্ছে ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কার। কুন্তলের কাছ থেকে নগদে ১ কোটিরও বেশি পেয়েছিলেন শান্তনু। সোমবার হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে হেফাজতে চেয়ে দাবিও জানিয়েছে ইডি। এদিন ইডির তরফে বলা হয়, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২টি ফোন পাওয়া গেছে, তা আসলে সোনার খনি, খতিয়ে দেখতে হবে। আরও অনেক প্রভাবশালী জড়িত, কেস ডায়েরিতে সব স্পষ্ট হবে'।                                               


নিয়োগ দুর্নীতিতে শান্তনুকে কোর্টে পেশ করে বিস্ফোরক দাবি করে ইডি বলে, বছরে ৬ লক্ষ টাকা রোজগার থেকে কীভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক? ৫১ কাঠা জমি, রিসর্ট, বাংলো-টাকা কোথা থেকে পেলেন যুব তৃণমূল নেতা? নিজের স্ত্রীর নামে সংস্থা খুলে খেলার চেষ্টা করছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। কেলেঙ্কারি দেখে এভারেস্টকেও অযোধ্যা পাহাড় বলে মনে হচ্ছে'।                                               


আরও পড়ুন, প্রবল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি জেলায় জেলায়, কবে থেকে আবহাওয়ায় বড় বদল?


সূত্রের খবর, প্রাসাদোপম বাড়ি, অভিজাত আবাসনে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, হোম স্টে, রিসর্ট, রেস্তোরাঁ, ধাবা-সহ শান্তনুর যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে সেই সংক্রান্ত তথ্য আদালতে তুলে ধরা হবে। ইডি-র দাবি, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগসাজশে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ছাড়াও শান্তনু নিজেও চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন। ইডি-র অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতির টাকাতেই সম্পত্তি বাড়িয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর, এইসমস্ত তথ্য আজ আদালতে পেশ করে শান্তনুকে ফের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে ইডি।