সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বেপাত্তা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shajahan Missing)। তাই তাঁর দায়িত্ব আপাতত সামলাবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য় কর্মাধ্য়ক্ষের দায়িত্ব এবার সামলাবেন সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী।
শাহজাহান এখনও বেপাত্তা। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন তাঁর আত্মগোপনের নেপথ্য়ে তৃণমূল ও প্রশাসনের মদত নেই তো? এরইমধ্য়ে এবার শাহজাহাজের পদ গেল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য় কর্মাধ্য়ক্ষ ছিলেন শাহজাহান। সেই দায়িত্ব আপাতত নিজের হাতে নিলেন তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। তিনি বলেন, 'যেহেতু সে নেই, ন্যাচারালি এখন আমাদের প্রেসক্রাইব অথরিটি যেভাবে চলতে বলবেন, পঞ্চায়েত রুলে যেভাবে আছে, সেইভাবেই চলবে। তত সময় পর্যন্ত সভাধিপতি হিসেবে আমিই চালাব।'
সোমবার, জেলা পরিষদের (North 24 Parganas) অফিসে গিয়ে দেখা গেল শাহজাহানের ঘর পড়ে রয়েছে তালাবন্ধ হয়ে। বেশ কয়েকদিন ধরে জেলা পরিষদে দেখা যায়নি তাঁকে। সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পরিষেবা নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই তাঁর জায়গায়, এবার এই দায়িত্ব সামলাবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। তবে যে ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরে শিরোনামে রয়েছেন সন্দেশখালির শাহজাহান, সেই নির্দিষ্ট ঘটনায় 'ঘোর আপত্তি' রয়েছে নারায়ণের। তিনি বলেন, 'আইন আইনের পথে চলবে। ব্যক্তিগত স্তরে আমি বলতে চাই যে, রাজ্য সরকারের তদন্তকারী সংস্থা হোক বা কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী সংস্থা হোক, বিইং আ ল অ্যাবাইডিং পিপল, আমাদের উচিত তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করা।'
এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন, জেলা পরিষদে কি ফিরবেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা? ফিরলেও কি কর্মাধ্যক্ষ পদেই বহাল রাখা হবে তাঁকে?
বেপাত্তা শাহজাহান:
কোথায় শেখ শাহজাহান? এই প্রশ্নেই যখন তোলপাড় গোটা রাজ্য, তখন ফের বিস্ফোরক দাবি করলেন সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক। সুকুমার মাহাতো বলেন, 'শেখ শাহজাহানের আইনজীবীরা ইডি দফতরে গিয়েছিল। আজও তাঁর আইনজীবীরা হাইকোর্টে যাবে। লোকাল প্রশাসন ভাববে যে কখন কাকে গ্রেফতার করতে হবে। প্রথম কথা তো তিনি বলছেন তো তিনি ছিলেনই না বাড়িতে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হবে, সে যদি সরাসরি জড়িত থাকত। কিন্তু প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ কোনওভাবেই জড়িত নয় এই ঘটনার সঙ্গে। তাহলে গ্রেফতারের প্রশ্নই নেই।' সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে, ইডি আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার দিনই, একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করা হয় ইডির তরফে। সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়। ঘটনার সময় শেখ শাহজাহানের ফোনের টাওয়ার লোকেশনই বলছিল, তিনি বাড়ির ভিতরেই ছিলেন। যদিও তাঁর ভাই শেখ আলমগীরের দাবি, 'শেখ শাহজাহান তিনি কোথায় এটা তো আমি যথার্থভাবে বলতে পারব না কারণ আমার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি এখনও। আমার যেটা ধারণা উনি ফোনটা রেখে মোটামুটি বাইরে বেরিয়েছিলেন এতটুকুই জানি।'