সমীরণ পাল, উত্তর চব্বিশ পরগনা : ব্যারাকপুর-বারাসাত রোডের ওপর, ভিড়ে ঠাসা বিরিয়ানির দোকানে পর পর গুলি! গুলিবিদ্ধ হন দোকানের এক কর্মী । ব্যারাকপুরের মোহনপুরে সেই ডি বাপির বিরিয়ানির দোকানে (biryani outlet in Barrackpore) গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার হল বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের শ্যুটার। এর আগে চলতি মাসের ১৯ তারিখ হামলাকারী দুষ্কৃতীদের তথ্য দেওয়া ও সহায়তার অভিযোগে প্রথম একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম অভিষেক ঝা। বাড়ি মোহনপুরে।


পুলিশের দাবি, জেলে বসেই বিরিয়ানির দোকানে (D Bapi Biryani) হামলা চালানোর ছক কষে শ্যুটার সুজিত রায়। জেল থেকেই বিরিয়ানির দোকানের মালিককে বন্দুকের ছবি দেওয়া হুমকি-মেসেজ পাঠায় সুজিত। ইতিমধ্যেই জেলবন্দি ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে ওই শ্যুটার। বিরিয়ানির দোকানে গুলিকাণ্ডে এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর রাতে 
টিটাগড় থানা থেকে কয়েক মিটার দূরে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহর ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে। এলাকা দখল ও তোলাবাজি নিয়ে ঝামেলার জেরেই খুন হয়েছেন মণীশ শুক্লা, বাংলাদেশে বসে বিজেপি নেতাকে খুনের ছক করা হয় বলে দাবি করে সিআইডি। 


আরও পড়ুন :


নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতেই না ! সিবিআইকে আর কী জানালেন পার্থ ?


সেদিন হামলার পর চাঞ্চল্যকর দাবি করেন ব্যারাকপুরের ওই বিরিয়ানি ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রায়ই হুমকি দিয়ে ফোন আসত। গালিগালাজ করা হত। কয়েকদিন আগে একটা বন্দুকের ছবি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজও পাঠানো হয়। মোবাইল ফোন তিনি পুলিশকে জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিরিয়ানি ব্যবসায়ী বাপি দাস। পুলিশ জানায়, ভার্চুয়াল নম্বর থেকে ওই মেসেজ ও ফোন করা হয়েছে।  ব্যারাকপুরে বিরিয়ানির দোকানে গুলিকাণ্ডে টার্গেট তিনিই ছিলেন বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীর। দোকান মালিকের দাবি, কাউন্টারে তিনিই বসেন। ঘটনাচক্রে গতকাল ওই সময়ে তিনি ছিলেন না।