কৃষ্ণেন্দু অধিকারী এবং ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সফরের জন্য ধর্না বন্ধ? পুলিশের (Police) তরফ থেকে কাল ধর্নায় বসতে নিষেধ এসএলএসটি (SLST) চাকরিপ্রার্থীদের। গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে নিষেধাজ্ঞা, দাবি আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের।                                                                                  


জানা গিয়েছে, ময়দান থানার তরফে আন্দোলনকারীদের জানান হয়েছে এই মর্মে, "আপনাদের জানান হচ্ছে ৩০ তারিখ গাঁধী মূর্তির পাদদেশে আপনাদের ধর্না প্রোগামটি করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য এই নির্দেশ। আপনারা নিজেরা এ বিষয়ে কথা বলে আমাদের নিশ্চিত করুন।"                                          


এরপর কী সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে আলোচনায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা। প্রসঙ্গত, কাল কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সকাল ১০টায় কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। ১০.১৫ নাগাদ বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে RCTC হেলিপ্যাডে পৌঁছবেন মোদি। ১০.৩০টা নাগাদ RCTC হেলিপ্যাড থেকে গাড়িতে করে হাওড়া স্টেশনে যাবেন তিনি। ১০.৩০ থেকে ১১:০০ নাগাদ 'বন্দে ভারত এক্সপ্রেস'-এর উদ্বোধন সহ একাধিক রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১১টা নাগাদ হাওড়া স্টেশন থেকে গাড়িতে করে গার্ডেনরিচ রওনা হবেন মোদি।                


আরও পড়ুন, 'অরিজিৎ বাংলার গর্ব, অনুষ্ঠান হবে অন্য জায়গায়', ফেসবুক পোস্টে জানালেন কুণাল


এই গোটা সফরের জন্য কলকাতাকে মুড়ে ফেলা হচ্ছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায়। জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। সেই সময়ে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে যদি প্রতিবাদকারীরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যান সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করছে একাংশ।                            


আগের ঘটনা


নবম থেকে দ্বাদশের যুব-ছাত্র অধিকার মঞ্চ, SLST থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের-গ্রুপ ডি, মাদ্রাসা কমিশন, নার্সিং---নিয়োগের দাবিতে সম্প্রতি মহাজোট তৈরি করে আন্দোলনে নামে চাকরিপ্রার্থীদের ৯টি মঞ্চ।  ১৯ ডিসেম্বর নিয়োগের দাবিতে কলকাতায় বড় মিছিলও করে তারা। এরপর ফের নবান্নের সামনে কাজিপাড়ার কাছে জড়ো হন চাকরিপ্রার্থীদের নয়টি মঞ্চের প্রতিনিধিরা। দ্রুত নিয়োগ এবং অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি তোলেন তারা। 


তবে নিয়োগের দাবিতে আসা চাকরিপ্রার্থীদের, পাঁজাকোলা করে গাড়িতে তুলে দেয় পুলিশ। ১৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে গ্রেফতার করে শিবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।