গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা :  বর্ষা এখনও বঙ্গে পুরোপুরি প্রবেশ করেনি। দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলা সবেই এখন প্রাক বর্ষার বৃষ্টি পেয়েছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে ট্রলারডুবির ঘটনা শোরগোল ফেলে দিল। ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখীন হলেন মৎস্যজীবীরা। তবে কোনও ভাবেই প্রাকৃতির বিপর্যয় এই ঘটনায় দায়ী নয়। 

সমুদ্র থেকে মাছ ধরে ফেরার সময় জলের হোসপাইপ ফেটেই ডুবে যায় ট্রলারটি। ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার । সকালে বঙ্গোপসাগরে কেঁদো দ্বীপের কাছাকাছি পৌঁছায় ট্রলারটি। সেই সময়ই  হোসপাইপ ফেটে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে। ট্রলারে ছিলেন ১৮ জন মৎস্যজীবী।তাঁদেরও ভয়ঙ্কর পরিণতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে খবর।


স্থানীয় মৎস্যজীবী সংগঠন সুত্রে খবর, এফবি রাজনারায়ণ নামক একটি ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরে উপকূলে ফিরে আসছিল। কেঁদো দ্বীপের কাছাকাছি হঠাৎই ট্রলারটির হোসপাইপ ফেটে গিয়ে নিচ থেকে জল ঢুকতে থাকে। ধীরে ধীরে ট্রলারটি তলিয়ে যায়। ওই সময় ডুবে যাওয়া ট্রলারের কাছাকাছিই ছিল এফবি. সপ্তর্ষিনারায়ণ নামে অন্য একটি ট্রলার। সেই ট্রলারটিতে থাকা ব্যক্তিদের তৎপরতাতেই ১৮ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তব ট্রলারটিকে দ্রুত ডুবে যায় । মৎস্যজীবীরা সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি।  


১৩ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে নিখোঁজ ট্রলার 


অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে ১৩ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে রায়দিঘির একটি ট্রলার। সোমবার সন্ধের পর থেকেই আর কোন যোগাযোগ নেই ট্রলারটির সঙ্গে। ইতিমধ্যে বিষয়টি উপকূল রক্ষী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। বাহিনীর পক্ষ থেকে গভীর সমুদ্রে  কয়েক দফায় তল্লাশিও চালানো হয়েছে। জেলা মৎস্য দফতর ও প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। গত ১৫ জুন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর রায়দিঘি ঘাট থেকে ১৩ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলার এফবি মাতৃআাশিস গভীর সমুদ্রে রওনা দেয়। গভীর সমুদ্রে পৌঁছে যওয়ার পরও যোগাযোগ হয়েছিল৷ কিন্তু গত সোমবার সন্ধ্যের পর থেকে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়।


আরও পড়ুন : 


বর্ষার আগমন বার্তা স্পষ্ট, তবু এখনই ভারী বৃষ্টি নয় ! এই তারিখ থেকেই প্রবল বর্ষণ কলকাতায় 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।