রঞ্জিত হালদার, সোনারপুর (দক্ষিণ ২৪ পরগনা): সোনারপুর (sonarpur) থানা এলাকার সুভাষগ্রামে মা ও ছেলের রহস্য মৃত্যু। বাড়ি থেকে উদ্ধার জোড়া দেহ। মৃত তপতী ও তাঁর ছেলে গৌতম পুরকায়স্থ। স্থানীয় সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহে গৌতম স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়ির একটি অনুষ্ঠানে যান। বুধবার একাই ফিরে আসেন গৌতম। গতকাল সকালে তাঁকে শেষবার দেখেন প্রতিবেশীরা। এরপর সন্ধেয় গৌতমের স্ত্রী ফেরার পর, বাড়ি থেকে সাড়া না মেলায় দরজা ভাঙা হয়। খাবার ঘর থেকে উদ্ধার হয় গৌতমের দেহ। পাশের ঘরে বিছানায় গৌতমের মায়ের মৃতদেহ মেলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, শেয়ার বাজারে কাজ করতেন গৌতম। সম্প্রতি আর্থিক অনটন চলছিল। তার জেরেই মাকে মেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি পারিবারিক সমস্যার কারণে এই ঘটনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও এই ঘটনায় অন্য কারও হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


এদিকে, বেগমপুরে প্রোমোটারকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় এক মহিলা-সহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নেতাজিনগরের বাসিন্দা প্রোমোটার অভীক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গিনী প্রিয়ঙ্কা সরকারকেও গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর রাতভর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এক মহিলা-সহ পাঁচ গ্রামবাসীকে আটক করে বারুইপুর থানার পুলিশ। চোর সন্দেহে গণপিটুনিতেই মৃত্যু হয়েছে প্রোমোটারের, এখনও পর্যন্ত এমনটাই মনে করছে পুলিশ।


উল্লেখ্য, চোর সন্দেহে কলকাতার প্রোমোটারকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের (bariupur) বেগমপুর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বান্ধবীকে নিয়ে বাইকে চড়ে এখানে ঘুরতে আসেন অভীক মুখোপাধ্যায় নামে বছর পঁয়ত্রিশের ওই প্রোমোটার (promoter)। অভিযোগ, চোর সন্দেহে তাঁকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে শুরু হয় গণপিটুনি। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই প্রোমোটারকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত প্রোমোটার কলকাতার নেতাজিনগরের বাসিন্দা। খুনের নেপথ্যে প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


আরো পড়ুন: ডোভার টেরেসে দোকানে অগ্নিকাণ্ড, জোড়াবাগানে ভস্মীভূত ২০টিরও বেশি ঝুপড়ি