আবির দত্ত, কলকাতা: জয়নগরের বালিকার দেহ কাঁটাপুকুর মর্গে আনতেই ধস্তাধস্তি। হেনস্থার অভিযোগে ৪ বিরোধী নেত্রীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা পুলিশের। কাঠগড়ায় বিজেপির অগ্নিমিত্রা-প্রিয়ঙ্কা, সিপিএমের মীনাক্ষী-দীপ্তিতা।
বিরোধী নেত্রীদের বিরুদ্ধে: আর জি কর-কাণ্ডের মধ্যেই জয়নগরে খুন-ধর্ষণের অভিযোগ। যে ঘটনার আঁচ এসে পড়েছে কলকাতাতেও। বিক্ষোভ, প্রতিবাদের মধ্যেই অশান্তি হয়। জয়নগরে নিহত বালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসার পর মোমিনপুরের কাঁটাপুকুর মর্গে তুলকালাম কাণ্ডে ঘটে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি। পুলিশকে হেনস্থার অভিযোগে ২টি মামলা দায়ের হল সাউথ পোর্ট থানায়। একটি মামলায় অভিযোগকারী বারুইপুর থানার IC, অন্যটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা। DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও SFI নেত্রী দীপ্সিতা ধরের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হয়েছে। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ও প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধেও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
নাবালিকার 'ধর্ষণ-খুনে'র অভিযোগ ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগর। পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে গাফিলতির অভিযোগ। আর জি কর-কাণ্ডে তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত ও নিহত ছাত্রীর দেহ দ্রুত দাহ করার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এই প্রেক্ষিতে গতকাল জয়নগরের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছে দেহ সংরক্ষণের দাবি জানান বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। বিকেলে হাসপাতাল থেকে নিহত বালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয় কলকাতার কাঁটাপুকুর মর্গে। আগে থেকেই সেখানে ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। মর্গের সামনে হাজির ছিলেন বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে মর্গের দরজা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। গেটে ধাক্কাধাক্কি। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠে বিক্ষোভকারীদের মারধর করার অভিযোগও। অভিযোগ বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশের চড়, পিঠে পড়ে লাঠিও। মর্গেই ওঠে উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ কুলতলির বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে জলাজমিতে মেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর দেহ। ওইদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ জয়নগরে টিউশন পড়তে গিয়ে বাড়ি ফেরেনি নাবালিকা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগরের মহিষমারি এলাকা। পুলিশকে ঝাঁটাপেটা থেকে শুরু করে মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।আজও থমথমে মহিষমারি বাজার এলাকা। দোকানপাট খুললেও, রাস্তায় লোকজনের সংখ্যা কম। টহল দিচ্ছে পুলিশ। প্রতিটি মোড়ে বসানো হয়েছে পুুলিশ পিকেট।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Junior Doctors Strike: আমরণ অনশনের দ্বিতীয় দিন, বায়ো টয়লেটেও 'আপত্তি' পুলিশের