গৌতম মণ্ডল, নামখানা: এক সপ্তাহের ব্যবধান। কাকদ্বীপের পর এবার নামখানা (Namkhana) ব্লক। আবারও সুন্দরবনে নির্বিচারে সরকারি (Sundarban tree Cutting) বনসৃজনের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল।
নামখানা পঞ্চায়েত এলাকার দ্বারিকনগর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে সপ্তমুখী নদী। ঘূর্ণিঝড় আমফানের সময় এই নদীর বাঁধে লাগানো গাছগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরপর পঞ্চায়েত ও বনদফতরের উদ্যোগে নদীর বাঁধ বরাবর ঝাউ, সোনাঝুরি এবং ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো হয়। অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে সেই গাছগুলি সাফ করা হচ্ছে। আর এর পিছনে রয়েছে এলাকার দুষ্কৃতীরা- অভিযোগ এমনটাই। শুধু রাতের অন্ধকারেই নয়, দিনের বেলাতেও গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ সাধারণ বাসিন্দাদের।
গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, এই দুষ্কৃতীরা শাসকদলের মদতপুষ্ট হওয়ায় ভয়ে তাঁরা প্রতিবাদ করতে ভয় পাচ্ছেন। শনিবার গ্রামবাসীদের তরফে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্থানীয় বিডিও, কাকদ্বীপের এসডিও ও বনদফতরের কাছে গাছ কাটা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শ্রীমন্ত মালি জানিয়েছেন, স্থানীয় পঞ্চায়েতকে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
কয়েকদিন আগে কাকদ্বীপেও এমনভাবেই গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অন্তত হাজারখানেক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। সরকারের তরফে বনসৃজন প্রকল্পে ওই গাছগুলি লাগানো হয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই রাস্তার পাশে থাকা গাছগুলি কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। কাঠ পাচারের এই অভিযোগ থাকলেও আতঙ্ক ছিল এলাকায়। তারপর ওই এলাকার বিজেপি নেতা লিখিত অভিযোগ করেন। তারপরেই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার কদিন পরেই সেই সুন্দরবন এলাকাতেই উঠল গাছকাটার অভিযোগ। এবারও কি অভিযান চালাবে পুলিশ? সুন্দরবন এলাকায় অন্যত্রও কি একইরকম গাছ কাটা চলছে? উঠছে এমন নানা প্রশ্ন। নির্বিচারে গাছ কাটার ঘটনা বারবার প্রকাশ্যে আসায় প্রশ্ন উঠেছে পরিবেশ নিয়েও। ক্রমশ বাড়ছে দূষণ, বাড়ছে গরম। এই সময়েই এমন গাছকাটার ঘটনা সামনে আসায় প্রশ্ন উঠছে পরিবেশ-সচেতনতা নিয়েও।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে