গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : রায়দিঘির সমবায় ব্যাঙ্কে (Raidighi Co-Operative Bank Scam) ১ কোটি টাকার বেশি তছরুপের অভিযোগ। সমবায় ব্যাঙ্কের হেড অফিসের ম্যানেজার ও একটি শাখার ইনচার্জের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন গ্রাহক ও শেয়ার হোল্ডাররা। অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসছে একাধিক তৃণমূল নেতার (TMC Leader) নাম।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গা ঢাকা দিয়েছেন এই সমবায় ব্যাঙ্কের কাশীনগর শাখার ইনচার্জ মোহনলাল হালদার। কাশীনগর পশ্চিম পাড়ার তৃণমূলের বুথ সভাপতি তিনি। অন্যদিকে, হেড অফিসের ম্যানেজার শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডলও স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আশঙ্কায় রায়দিঘির খাঁড়ি ইউনিয়ন লার্জসাইজ প্রাইমারি এগ্রিকালচারাল কোঅপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের প্রায় ২ হাজারের বেশি আমানতকারী। সমবায় ব্যাঙ্কের হেড অফিসের ম্যানেজার ও একটি শাখার ইনচার্জের বিরুদ্ধে এই আর্থিক তছরুপের অভিযোগে সরব হয়েছেন ব্যাঙ্কের শেয়ার হোল্ডার ও গ্রাহকেরা।
ইতিমধ্যে সমবায় ব্যাঙ্কের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় বিডিও ও আইসির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রাহকেরা। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সমবায়ের রেজিস্ট্রারের পক্ষ থেকে শুরু করা হয়েছে তদন্তও।
ব্যাঙ্কের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সম্পাদক শিবু গোস্বামীর অভিযোগ, ২০২২- ২৩ আর্থিক বর্ষে অডিট রিপোর্টে এই আর্থিক তছরুপ ধরা পড়েছে । কাশীনগর শাখার ইনচার্জ মোহনলাল হালদার ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১ কোটি ১১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৫৬ টাকা তছরুপ করেছে। এর সঙ্গে ব্যাঙ্কের অনেক কর্মী জড়িত। এরা সকলেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যে লেগেছে রাজনৈতিক রংও।
রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন,‘ দোষীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি গ্রাহকদের আমানত সুনিশ্চিত করতে হবে।’ অন্যদিকে রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক অলোক জলদাতা জানিয়েছেন,‘ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। যারা দোষীদের তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। দলের কোন বিষয় নেই এর মধ্যে।’
আরও পড়ুন- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে পুর নিয়োগে দুর্নীতি ? বিস্ফোরক তথ্য ইডি-র হাতে
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।