নামখানা: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা হয়েছিল নাবালক সন্তান। তার জেরে ১৩ বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে নামখানা থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি কাজের সূত্রে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন অভিযুক্ত মণিরা বিবির স্বামী। অভিযোগ, মঙ্গলবার মণিরা বিবিকে প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে দেখে ফেলে ওই নাবালক। ছেলে প্রতিবাদ করায়, গতকাল তাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদে ছেলেকে খুনের কথা স্বীকার করে মা।
কিছুদিন আগে, বৌদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (Extra Marital Affair) জেরে মহিষাদলে স্ত্রী ও সাত মাসের শিশুকন্যাকে খুন (Murder) করে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গণপ্রহার দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর বৌদিকে আটক করেছে পুলিশ (Police)। ঘটনাটি ঘটেছে, পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipore) জেলার মহিষাদলের চক-গাজিপুরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তমলুকের সোনম খাতুন (২৩)-এর সঙ্গে ২ বছর আগে বিয়ে হয় মহিষাদলের (Mahishadal) লক্ষা ১ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের চকগাজীপুরের বাসিন্দা শেখ সলমনের। সাত মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাঁদের। শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন যায় সোনমের বাবা মইনুদ্দিন আলির কাছে। বলা হয়, কন্যা সন্তান সহ আত্মহত্যা করেছেন সোনম। সোনমের বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, সেখানে পৌছে তাঁরা দেখেন, মা-মেয়ের দেহ শোয়ানো রয়েছে খাটের ওপর।
সোনমের বাবার অভিযোগ, জামাইয়ের সঙ্গে তাঁর বউদির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। সে কথা সোমন জানতে পেরে যাওয়ায়, শুরু হয় অশান্তি। তার জেরেই এই জোড়া খুন। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয়রা অভিযুক্ত সলমনকে মারধর করেন। পরে মহিষাদল থানার পুলিশ (Mahishadal Police Station) গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে অভিযুক্তকে। পুলিশ ওই যুবক ও তাঁর বৌদিকে আটক করেছে। তবে মা ও মেয়ের এই মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি খুন, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই, জানা যাবে বলে জানিয়েছেন মহিষাদল থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: Basirhat: চাষ সেরে ফেরার পথেই পাকড়াও, কৃষকের কাছ থেকে উদ্ধার সোনার বিস্কুট
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন