মুন্না আগারওয়াল, কুমারগঞ্জ (দক্ষিণ দিনাজপুর) : বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই রাজ্যে খসছে পদ্মের পাপড়ি। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েত হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের। আর যা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের দাবি, উন্নয়ন না করাতেই ক্ষমতা হারাতে হচ্ছে বিজেপিকে। বিজেপির অভিযোগ, ভয় আর প্রলোভনের রাজনীতি করছে তৃণমূল। 


বিধানসভা ভোটের পর ইতিমধ্যে বিজেপির হয়ে জেতা ৪ বিধায়ক যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। গেরুয়া শিবিরে রাজনৈতিক রক্তক্ষরণ চলছে নিচুতলাতেও। বিজেপির প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূলের আনা অনাস্থায় সমর্থন জানালেন বিজেপি সদস্যরা! তার জেরে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে গ্রামপঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বিজেপির।


সোমজিয়া গ্রামপঞ্চায়েতে ১৭টি আসন। বিজেপির ৭, তৃণমূলের ৬, নির্দলের ৩ এবং সিপিএমের ১ জন সদস্য রয়েছেন। ৩ নির্দলের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। ৬ তৃণমূল সদস্যের আনা অনাস্থায় সমর্থন জানিয়ে ভোট দিয়েছেন ৩ বিজেপি সদস্য এবং এক সিপিএম সদস্য। তার জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে তৃণমূল। সরতে হয়েছে বিজেপি- নির্দল জোটের প্রধানকে।  


সোমজিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য আব্দুল রাকিব সরকার বলেছেন, 'বিজেপি ও নির্দলের জোটে প্রধান ছিল। আমরা অনাস্থা ডাকি। বিজেপির তিনজন সমর্থন করেছেন।' অপরদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপি সভাপতি বিনয় কুমার বর্মন বলেছেন, 'এই ৩ জন বিজেপি সদস্য তৃণমূলের অনাস্থাকে সমর্থন করে ভোট দিলেও এরা তৃণমূলে যায়নি।'


অপরদিকে, পুরুলিয়ার পাড়া ব্লকেও গ্রামপঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। ১১ আসনের ভাউরীডি গ্রাম পঞ্চায়েতে সমান সংখ্যক আসন পেয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপি। এক নির্দলের সমর্থনে বোর্ড গঠন করে গেরুয়া শিবির। পরে এক বিজেপি সদস্যের মৃত্যু হয়। আরেক বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সংখ্যা কমে হয় ৩। তৃণমূলের ৬ সদস্য অনাস্থা আনতেই তাতে সমর্থন জানান এক নির্দল। ৩-৭ ভোটে হেরে সরতে হয়েছে বিজেপির প্রধানকে।  রাজ্য বিজেপি কীভাবে এই ভাঙন সামলায়, এখন সেটাই দেখার। 


আরও পড়ুন-


বিজেপি সদস্যের সমর্থনে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল তৃণমূলের, উলটপুরাণ পশ্চিম মেদিনীপুরে


মালদা কালিয়াচকে দলীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূল সদস্যদের