কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ঠিক পরেই সরকারি পদ পেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। একসময় তিনি কলকাতার মেয়র ছিলেন। রাজনৈতিক বহু টানাপোড়ের পর, সম্প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে টানা যোগাযোগ রাখছিলেন। তারপরেই এল এই সরকারি বিজ্ঞপ্তি। এদিন এবিপি আনন্দ-কে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
শোভন চট্টোপাধ্যায় : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী, তিনি কোনও দায়িত্ব দিলেন যদি, তাহলে দায়িত্বকে স্বপূর্ণভাবে সিনসিয়ারিটি দিয়ে, আমার প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা এবং অন্যকিছু দিয়ে, আমি চেষ্টা করব, সেটাকে ফুলফিল করবার জন্য। কারণ এই নিউটাউন যেভাবে গড়ে উঠেছে, আমার চোখের সামনে গড়ে উঠেছে। আমি দীর্ঘ ৪০ বছর জনপ্রতিনিধি ছিলাম। ন্যাচেরালি সেই দায়িত্বের পরিপ্রেক্ষিতে যদি, NKDA-র দায়িত্ব যখন আমার উপর আসছে, সেই দায়িত্বও আমি, আমার আপ্রাণ, সিনসিয়ারিটি দিয়ে, আমি চেষ্টা করব, এই নতুন শহরকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তোলার।
প্রশ্ন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পর কি এটা জানতেন ? এই দায়িত্ব পাবেন বা সরকারি কোনও দায়িত্ব পাবেন ?
শোভন চট্টোপাধ্যায় : দেখুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার, তখনইতো সবাই জানতে পারে, তেমনি আমিও জানতে পারি।
প্রশ্ন: আপনি তৃণমূলে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। দেখা যাচ্ছে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে ফেরার আগেই, সরকারি দায়িত্ব দেওয়া হল আপনাকে। দলে ফেরা কি সময়ের অপেক্ষা ?
শোভন চট্টোপাধ্যায় : দেখুন এই বিষয়ে আমি কোনওই মন্তব্য করছি না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, যে দায়িত্ব আমার কাছে আসে, সেই দায়িত্বটুকুই আমি ফুলফিল করি। যখন যেভাবে এসেছে, আমি তখন সেইভাবেই কাজ করার চেষ্টা করি।
মেয়র হিসেবে কলকাতায় দীর্ঘদিন কাজ করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এবার তাঁকে উন্নয়নের কাজে লাগাতে চান। এবং সেই কারণেই NKDA-র চেয়ারম্যান করা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। এইভাবে একটা সরকারি পদ দেওয়ার মধ্য দিয়েই, তৃণমূলে ধীরে ধীরে পুরনো ফর্মে ফেরার সূচনা হল বলে মনে করা হচ্ছে বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। জল্পনা চলছিল যে, দীপাবলির আগেই, তিনি তৃণমূলে ফিরবেন। এবং সেই জল্পনাই সত্যি হল। কার্যত দীপাবলির আগেই সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হল।