কলকাতা: করোনার প্রকোপ থেকে বাদ যাচ্ছেন না কেউই। এ বার মারণ রোগে সংক্রমিত হলেন কবি-সাহিত্যিক শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার করোনা থাবা বসাল তাঁর শরীরে। সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও আক্রান্ত শ্রীজাত। আপাতত নিভৃতবাসে রয়েছেন তিনি। গত কয়েক দিনে যাঁরা সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শ্রীজাত। 


মঙ্গলবার ফেসবুকে নিজেই সংক্রমিত হওয়ার কথা জানান শ্রীজাত। তিনি লেখেন, 'দ্বিতীয়বার কোভিড-আক্রান্ত হলাম। এইবার প্রতিষেধকের দুটি টিকা'র পরেও। আপাতত সামান্য উপসর্গ নিয়ে ঘরেই নিভৃতবাস পালন করছি। যাঁরা গত কয়েকদিনে আমার সংস্পর্শে এসেছেন, অবশ্যই নিজেদের কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নিন। সাবধানে থাকুন সকলে, সুস্থ থাকার ও রাখার চেষ্টা করুন। আর হ্যাঁ, এই ক'দিন বিশেষ ফোনালাপ বা বার্তালাপ করতে পারছি না, সে-জন্য মার্জনাপ্রার্থী।'



আরও পড়ুন: Covid Third Wave: 'করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই রয়েছি আমরা', জানিয়ে দিলেন চিকিৎসকেরা


তবে শ্রীজাত একা নন। দু'টি টিকা নেওয়ার পরেও বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন কেউ দ্বিতীয় বার আক্রান্ত হচ্ছেন। কারও শরীরে আমার তৃতীয় বারের জন্য়ও বাসা বাঁধছে ভাইরাস। এই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। তৃতীয় বারের জন্য় করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী এবং বাবাও আক্রান্ত। তাঁদেরও দু'টি টিকাই হয়ে গিয়েছিল।


তবে দু'টি টিকা হয়ে গেলেই সংক্রমণ থেকে রক্ষা মিলবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বার বার শরীরে ভাইরাস প্রবেশও অস্বাভাবিক নয় বলে মত তাঁদের। তাঁদের যুক্তি, নির্দিষ্ট সময়ের পর টিকার কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। তাতে ভাইরাস সহজেই কাবু করে ফেলে শরীরকে। 


একই সঙ্গে, বাংলা তো বটেই, গোটা দেশে করোমার তৃতীয় ঢেউ নেমে এসেছে বলে মানছেন শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে, করোনার তৃতীয় ঢেউ নেমে এসেছে। কোনও ভাবেই তা অস্বীকার করার উপায় নেই। এমন পরিস্থিতিতে মাস্কের কোনও বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন তাঁরা।