কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: এসএসসি-র গ্রুপ সি (Group C) নিয়োগে ভয়াবহ দুর্নীতি! প্রাপ্ত নম্বর শূন্য, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৭! প্রাপ্ত নম্বর ১, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৪! ৩ হাজার ৪৭৮ জন পরীক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি (SSC)।  



৩ হাজার ৪৭৮ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৩০ জনেরই নম্বর দেদার বাড়ানো হয়েছে। এসএসসি-র প্রকাশিত তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি করে নিয়োগ-দুর্নীতির ছবি। কতজন পরীক্ষার্থীর কত নম্বর বাড়ানো হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে তালিকা প্রকাশ কমিশনের। 


এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, "এটা সংগঠিত, পরিকল্পিত দুর্নীতি। এসএসসির মান সম্মান এখন আর কিছু নেই। যে উদ্দেশে এসএসসি তৈরি হয়েছিল, সেটিকেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজান্তে এই দুর্নীতি হয়নি। উনি জানতেন না এটা হতে পারে না। আর যদি না জানেন তাহলে অযোগ্য হিসেবে তাঁর পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত'। 


আরও পড়ুন, 'এই কেসের মাস্টারমাইন্ড কুন্তল', বিস্ফোরক দাবি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের


এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "আর কত অবাক হব আমরা? বাংলায় দুর্নীতি আর কতদিন চলবে? কত ক্ষেত্রে ঘটবে? বাংলার নাম এখন দুর্নীতিশ্রী। বিচারকরা একের পর এক দুর্নীতি সামনে আনার চেষ্টা করছে। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা রইল আমার। মুখ্যমন্ত্রী আর তৃণমূলের দৌলতে এত কিছু।" 


সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি বলেন, "টাকার বিনিময়ে চাকরি দিচ্ছে এটা আমার ৪-৫ বছর ধরে বলে আসছি। সব স্তরে এই টাকার ভাগ যাচ্ছে। এখনও কিন্তু মাথাদের ধরা যাচ্ছে না। তাঁদের কাছে কেন পৌঁছচ্ছে না ইডি, সিবিআই।" 


এদিকে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গ্রুপ সি-র চাকরিচ্যুতরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ ৮৪২ জন চাকরিচ্যুতর। শুক্রবার এই ৮৪২ জন গ্রুপ সি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। তারপরই বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মামলা দায়েরের অনুমতি দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।