সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: এসএসকেএমের এমার্জেন্সির বিল্ডিংয়ের ল্যাবে আগুন (SSKM Fire)। কলকাতার এসএসকেম হাসপাতাল থেকে গলগল করে বেরোচ্ছে ধোঁয়া। ঘটনাস্থলে দমকলের ৯টি ইঞ্জিন। রাত ১০টা নাগাদ এমার্জেন্সির বিল্ডিংয়ের দোতলায় ল্যাবে আগুন লাগে (Kolkata News)। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বিল্ডিংয়ে আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে (SSKM Hospital Fire)। দোতলার একটি বড় অংশ আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে।


রাতের শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড


যেখানে আগুন লেগেছে, সেটি হল, এসএসকেএম-এর এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের দোতলায় অবস্থিত। সেখানে সিটি স্ক্যান হয়। বেশ কিছু ল্যাবরেটরিও রয়েছে। বিল্ডিংয়ের ভিতরে আগুন ধরেছে। ধোঁয়া বেড়েছে অনর্গল। দমকলের নয়টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। যেখানে আগুন লেগেছে, তার উপরের তলায় রোগীদের ওয়ার্ড রয়েছে। তাই আগুন যাতে ছড়াতে না পারে, তাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপদ এড়াতে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রাণপণ চেষ্টা চলছে। ঘটটনাস্থলে পৌঁছেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।


আরও পড়ুন: Fire in SSKM Hospital: 'নিজেরাই জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করছিলাম, পারিনি', ত্রস্ত মুখে বললেন হাসপাতাল কর্মীরা


হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যেখানে আগুন লেগেছে, সেখানে কোনও রোগী নেই বলেই খবর। তবে হাসপাতালের কর্মী-সহ বেশ কিছু লোকজন ছিলেন। তাঁদের মোটামুটি বের করে আনা গিয়েছে বলেই খবর। অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে সকলে। ভিতরে কেউ আগুনে আটকে নেই বলেই খবর।


সারা বাংলা থেকে রোগীরা এসএসএম হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। এই মুহূর্তে হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমেছে। সকলের চোখেমুখে আতঙ্ক কাজ করছে। উদ্বিগ্ন রোগীর পরিবার, আত্মীয়-স্বজনরা। দমকলের কর্মীরা ভিতরে ঢুকে জল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেখানে একাধিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র রয়েছে। ফলে আগুন সেখান থেকে ছড়িয়েছে কিনা, বা তার কারণে আগুন আরও ছড়াতে পারে কিনা, তা নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।


ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৯টি ইঞ্জিন


হাসপাতালের এক কর্মী বলেন, "প্রায় এক ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে আগুন ধরেছে। আমরা ভিতরে ছিলাম। রিপোর্টিং রুমে গিয়ে দেখি কালো ধোঁয়া। দাউদাউ করে আগুন দেখলাম। নিজেরা নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু এত দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন, যে নেভাতে পারিনি। বরং বেড়ে যাচ্ছিল। তাতে সবাই বেরিয়ে আসি।" তবে ঘটনার সময় রোগী ছিলেন না কেউ, কর্মীর সংখ্যাও কম ছিল বলে জানিয়েছেন। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন সকলে।