SSKM : হাসপাতালের কর্মী পরিচয়ে রক্ত জোগাড় করার নামে ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে গায়েব !
SSKM Blood Collection Harassment : দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও রক্ত না পাওয়ায় ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর ভবানীপুর থানায় অভিযোগ করেন।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : রক্ত জোগাড় করে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ। দালালচক্রের খপ্পরে রোগীর পরিবার। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
সক্রিয় দালালচক্র নিয়ে ফের অভিযোগের আঙুল উঠল রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল SSKM এর দিকে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রোগী ভর্তির নামে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে ধরা পড়েছিলেন হাসপাতালের অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী প্রবীর বৈরাগী।
এবার রক্ত জোগাড়ের নামে প্রতারণার অভিযোগে ধৃত মদন মণ্ডলও এই হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী। পুলিশের দাবি, জেরায় নিজেকে এই পরিচয়ই দিয়েছেন ধৃত ব্যক্তি। ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, বীরভূমের দুবরাজপুরের এক বাসিন্দা দাবি করেন, তাঁর আত্মীয়ের রক্তের প্রয়োজন ছিল। সেজন্য তিনি SSKM-এর ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, তখন এক ব্যক্তি নিজেকে হাসপাতালের কর্মী পরিচয় দিয়ে রক্ত জোগাড় করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর ৪ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যান ওই ব্যক্তি।
কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও রক্ত না পাওয়ায় ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এরপর ভবানীপুর থানায় অভিযোগ করেন। রাতেই অভিযুক্ত মদন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় ৪ হাজার টাকা।
অভিযুক্ত সত্যিই হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেইসঙ্গে পুলিশ সূত্রে দাবি, দালাল চক্র সক্রিয় হওয়ার একের পর এক অভিযোগ আসায়, SSKM-এ সাদা পোশাকের পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন :
আজ শিলিগুড়ি, আসানসোল , চন্দননগর , বিধানননগর পুরভোটের ফল ঘোষণা
ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে এমনই একটি ঘটনা সামনে আসে। অভিযুক্তের নাম প্রবীর বৈরাগী। জানা যায়, ১৭ জানুয়ারি পথ দুর্ঘটনায় জখম মালদার এক বাসিন্দাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য আনা হয়। সেই সময় হাসপাতালে শয্যা না থাকার সুযোগ নেন ওই ব্যক্তি। তিনি হাসপাতালেরই কর্মী। তিনি বোড পাইয়ে দেওয়া নামে রোগীর পরিবারের থেকে মোটা টাকা দাবি করেন বলে , জানা যায়। এরপরও রোগী ভর্তি করতে না পারায় চিরকার চ্যাঁচামেচি শুরু করে দেন রোগীর আত্মীয়রা। তারপরই বিষয়টি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার পীযূষ রায়। এরপর অভিযুক্তকে , কয়েকজন শাকরেদ সহ গ্রেফতার করা হয়। এখন বোঝা যাচ্ছে, প্রবীর একা নন, এই চক্র সুদূর বিস্তৃত।