রুমা পাল, আশাবুল হোসেন, শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগে আজ থেকে কমিশনারহীন রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বর্তমান রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল। এখনও, নবান্নের ২ টি প্রস্তাবিত নামের একটিতেও সবুজ সঙ্কেত দেয়নি রাজভবন। ফলে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে তা এখনও অনিশ্চিত।
মে মাস শেষ, রাজ্য়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে ? এই মহূর্তে এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কারণ, সোমবার থেকে কমিশনারহীন হয়ে পড়ল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commision)। রবিবারই শেষ হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ। সৌরভ দাসের কার্যকালের মেয়াদ ছিল ২৮ মে পর্যন্ত।রাজ্য সরকারের তরফে যে ২টি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তার একটিতেও এখনও সিলমোহর দেয়নি রাজভবন (Raj Bhavan)।
গত ১৮ মে রাজ্যপালের কাছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে প্রাক্তন মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহার নাম প্রস্তাব করে নবান্ন (Nabanna)। নবান্ন থেকে একমাত্র রাজীব সিনহার নাম পাঠানোয় একাধিক প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল (Governor)। এই নাম পাঠানোর আগে নেওয়া হয়েছে কি মন্ত্রিসভার অনুমোদন? জানতে চান রাজ্যপাল। শুক্রবার রাজভবনে তলব করা হয় মুখ্যসচিবকে। এরপর নবান্নের তরফে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দ্বিতীয় নাম প্রস্তাব করা হয়। রাজভবনে পাঠানো হয় অজিতরঞ্জন বর্ধনের নাম। বর্তমানে, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদে রয়েছেন তিনি। এর আগে ছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের দায়িত্বে।
কিন্তু, এর পরও কোনও নামেই সিলমোহর দেয়নি রাজভবন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'কমিশনার যেই হন ডিফ্যাক্টো থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যখন চাইবেন ভোট তখনই হবে।' পাল্টা রাজ্যপালের দিকে বিষয়টা ঠেলে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'কেন অনুমোদন পাওয়া যায়নি তার জবাব রাজ্যপাল দিতে পারবেন'।
আরও পড়ুন- 'আমাকে কিনে কেউ আনেনি, বিশ্বাসঘাতকতা করিনি' দাবি বায়রনের
সোমবার সকালেই দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যপাল। ফিরে কী সিদ্ধান্ত নেন সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন: বাড়িতে সহজ পদ্ধতিতে তৈরি করুন আমন্ড মিল্ক