কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতকাল গ্রেফতার করা হয় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে (Sujay Krishna Bhadra Update)। কীভাবে উত্থান তাঁর? জানালেন সুজয়কৃ্ষ্ণর দাদা অজয়কৃষ্ণ ভদ্র। "টালির চালের মুদির দোকান থেকে উত্থান, অভিষেকের অফিসে চাকরি, বাড়িতে আসতেন অভিষেকও।'' দাবি সুজয়কৃষ্ণর দাদা অজয় কৃষ্ণ ভদ্রর। যদিও ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেছেন অজয় কৃষ্ণ ভদ্র।                               


কীভাবে উত্থান কালীঘাটের কাকুর?


সুজয়কৃষ্ণর দাদা অজয় কৃষ্ণ ভদ্র বলেন, "বাড়িতেই একটা টালির ঘর ছিল। যেটা ছিল মাটির রান্নাঘর। তার জানলা ভেঙে একটা মুদির দোকান চালাত। তারপরে ক্লাসিক ফিনান্সে ম্যানেজারির চাকরি করত। যতদূর জানি অভিষেক  বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের চাকরি করত। কোথায় অফিস, কী অফিস কিছু জানি না। দু-একবার অভিষেক ওঁর বাড়িতে এসেছিল, তখন দেখেছি। খারাপ কাজ করলে খারাপ ফল। অন্যায় করলে শাস্তি পাবে।''                        


প্রায় ১২ ঘণ্টা ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল অবশেষে 'কালীঘাটের কাকু'কে গ্রেফতার করে ED। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আরও এক হাইপ্রোফাইল গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল রাজ্য়। মঙ্গলবার, সকাল ১০.৫৯ নাগাদ ইডি দফতরে এসে পৌঁছন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সুজয়কৃষ্ণকে প্রশ্ন করা শুরু করেন ইডির ৩ জন আধিকারিক। সকাল পেরিয়ে দুপুর, দুপুর বিকেলি, বিকেল থেকে রাত...লাগাতার চলতে থাকে জিজ্ঞাসাবাদ। ৩ দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় 'কালীঘাটের কাকু'কে। ইডি, সূত্রে খবর, তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না তিনি। অবশেষে রাতে গ্রেফতার করা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'কে। এর আগে, চার্জশিটে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের DIP ডেভলপার্সের ১ হাজার ২০০ স্কোয়ার ফুটের একটি কমার্শিয়াল স্পেস কেনার জন্য ২০২০ সালে অগ্রিম হিসেবে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশির পর, ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, আয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যয়ের সামঞ্জস্য মেলেনি। অবশেষ বারবার জিজ্ঞাসাবাদ ও বাড়িতে তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হয় কালীঘাটের কাকুকে।                 


আরও পড়ুন: Causes of Sweating: গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘামতে শুরু করি কেন, এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ কী ?