কলকাতা: কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) দায়ের করা মানহানির মামলায় (Defamation Case)  আগামীকাল নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে হবে না শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। নিম্ন আদালতের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ১০০টি মামলা দায়ের হলে, ১০০টি আদালতেই কি হাজিরা দিতে হবে? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।


কলকাতা হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়া থেকে রক্ষা পেলেন শুভেন্দু


আগামী ১৭ নভেম্বর এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। তার আগে শনিবার শুভেন্দু অধিকারীকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। তাতেই স্থগিতাদেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। জানিয়ে দিলেন, সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে না বিরোধী দলনেতাকে। 


২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দেন শুভেন্দু। সেই সময় তাঁর সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের বাগযুদ্ধ চরমে ওঠে। ২০২০ সালে ভোট প্রচারে অধিকারী পরিবারের ঘরের মাঠ কাঁথিতে গিয়ে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন কুণালষ। অভিযোগ, সেই মন্তব্যের পাল্টা কুণাল ঘোষকে ‘বাবার ত্যাজ্যপুত্র’ বলে নিশানা করেন শুভেন্দু। এই বক্তব্যের কারণেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন কুণাল।


আরও পড়ুন: Bankura : ফেরিওয়ালা থেকে IIT খড়গপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া, ছোটনের জীবন গল্পকেও হার মানায়


শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে কুণালের বক্তব্য ছিল, "রাজনৈতিক আক্রমণ সব সময়েই হয়। কিন্তু ও যা বলেছিল তার প্রেক্ষিতে আমি মানহানির মামলা করেছিলাম। ওর পিটিশনে উনি সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন উল্লেখ করেছেন৷ আমার আইনজীবীরা কাঁথির বিষয় কেন গ্রহণযোগ্য নয় তা বলেছিলেন। এক্ষেত্রে কাঁথির দূরত্ব গ্রহণীয় নয়। অর্ডার এসেছে সেখানে হাজির থাকতে বলেছে।"


শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন কুণাল


এই মামলায় শুভেন্দুর আইনজীবী আদালতে জানান, বিরোধী দলনেকতার বাড়ি বহুদূরে। তাই সশরীরে হাজিরা থেকে ছাড় দেওয়া হোক তাঁকে। এর পাল্টা কুণালের আইনজীবী আদালতে জানান, বিরোধী দলনেতা বিধানসভায় বসেন। রাজনীতি করতে গোটা বাংলায় ঘোরেন। তাঁর দফতর আদালত থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে। তাহলে আদালতে হাজিরা দিতে আপত্তি কোথায়? তবে শেষমেশ শুভেন্দুকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না বলেই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট।