কলকাতা: শেখ শাহজাহান কব্জায় এলেও 'উধাও' মোবাইল ফোন। শেখ শাহজাহানের ফোনের খোঁজে সিবিআই। কল রেকর্ড হাতে পেলেও শেখ শাহজাহানের মোবাইল ফোন অধরা। গ্রেফতারির সময় মেলেনি শেখ শাহজাহানের মোবাইল ফোন, দাবি জেলা পুলিশ সূত্রের। তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শেখ শাহজাহানের মোবাইল ফোন, দাবি সিবিআই সূত্রের। 'খবর আছে, ওই মোবাইল ফোন হয় রাজ্য পুলিশের হাতে আছে অথবা তা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে', সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট শুভেন্দু অধিকারীর। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বসিরহাট জেলা পুলিশ। 






কোথায় গেল শেখ শাহজাহানের জোড়া মোবাইল ফোন? সন্দেশখালিকাণ্ডে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতাকে হাতে পেলেও, এখন এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে CBI আধিকারিকদের। কারণ CBI সূত্রে খবর, এখনও হদিশ মেলেনি শেখ শাহজাহানের ২টি মোবাইল ফোনের। জেলা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের সময় তাঁর মোবাইল পাননি তাঁরা। CID-ও মোবাইল পায়নি। আর এই প্রেক্ষাপটে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা। X হ্য়ান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, যখন শেখ শাহজাহান মমতা পুলিশের আশ্রয়ে ছিল, তার 'লোক দেখানো' গ্রেফতারির আগে, 'আমিনুল' নামে একজন মমতা পুলিশ অফিসার তার আইফোন বাজেয়াপ্ত করে তার ঊর্ধ্বতন অফিসারদের কাছে হস্তান্তর করেন।
 
পাল্টা বসিরহাট পুলিশ জেলার তরফে, শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের স্ক্রিনশট পোস্ট করে X হ্য়ান্ডেলে লেখা হয়েছে, এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। কোনও খারাপ উদ্দেশে পুলিশকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এটি করা হয়েছে। এই মানহানিকর ও ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেব। পুলিশের FIR সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে ED দাবি করেছিল, ED-র উপর হামলার সময় শেখ শাহজাহান বাড়িতেই ছিলেন এবং কল রেকর্ড অনুযায়ী, ২-৩ মিনিটের মধ্যে ২৮টি ফোন করেছিলেন।
 


CBI সূত্রে এও দাবি করা হয়েছিল, ED-র উপর হামলার ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর পর্যন্ত, খোলা ছিল শেখ শাহজাহানের দুটি মোবাইল ফোন। তার মধ্যেই কথা হয় সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর সঙ্গে। 'উধাও' শেখ শাহজাহানের জোড়া মোবাইল। বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। যে শেখ শাহজাহানকে ৫ জানুয়ারি যখন ED তার বাড়িতে তদন্ত করার জন্য যায়, সেই সময় শেখ শাহজাহান বাড়িতেই ছিল। ওইদিন বাড়িতে ঢুকলে অনেককিছু ED-র হাতে চলে যেত। এবং সেই সঙ্গে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হত। আর শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হলে দিদি এবং ভাইপোর নামও এতদিন চলে আসত। 


আরও পড়ুন, তৃণমূলের জনগর্জন সভা উপলক্ষে হাওড়ায় কর্মী-সমর্থকরা, রান্নায় হাত লাগিয়েছেন TMC বিধায়ক


সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে ডিজিটাল এভিডেন্স হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এই মোবাইল ফোন ২টি। ৫ জানুয়ারি, কাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল শেখ শাহজাহানের? এর পাশাপাশি, রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও বিশেষ তথ্য কি এই ফোন দুটিতে থাকতে পারে? কোনও চ্য়াট ডিলিট করা হয়েছে কিনা, ফোন দুটি উদ্ধার হলে জানা যেতে পারে বলে মনে করছে CBI।