হুগলি: কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কত টাকা-সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে তারই খতিয়ান দিলেন শুভেন্দু।
কী বলেছেন শুভেন্দু?
বিরোধী দলনেতার দাবি, কয়েকদিন আগে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ি ও অফিসে যে তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর দফতর। তাতে বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার হয়েছে। কত টাকা? শুভেন্দুর দাবি, ওই তল্লাশিতে নগদ ৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পাশাপাশি ৬ কোটি টাকার গয়নাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় আয়কর দফতরের কাছে বিবৃতি প্রকাশের দাবি বিরোধী দলনেতার।
৩ মে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে রায়গঞ্জের বিধায়কের বাড়িতে চলে আয়কর তল্লাশি।
তৃণমূলের পাল্টা:
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'এই কথা বলে অনেক প্রশ্ন তুলে দিলেন উনি। উনি কি টাকা গুনেছেন? নাকি উদ্ধার হওয়ার সোনা সোনার দোকানে গিয়ে ওজন করে ভ্য়ালুয়েশন করেছেন? তা নাহলে তো প্রশ্ন ওঠে যে তদন্তকারী সংস্থা ওঁকে সবার আগে রিপোর্ট দিয়েছে? যদি দ্বিতীয়টা সত্যি হয় তাহলে তো প্রমাণ হয়ে গেল যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ রয়েছে।' পাশাপাশি নারদ কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলেও শান্তনুকে নিশানা করেন তিনি।
বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ি, অফিস, ম্যানেজারের বাড়িতে চলেছিল আয়কর দফতরের তল্লাশি। আয় বহির্ভূত সম্পত্তি ও আয়ের থেকে অনেক কম কর জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। খবর আয়কর দফতর সূত্রে। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, কৃষ্ণ কল্য়াণীর ৩টি ঠিকানায় চলেছিল তল্লাশি। আয়কর দফতরের আধিকারিকরা বলেছিলেন, তাদের কাছে খবর ছিল যে কৃষ্ণ কল্যাণীর আয় বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে সেখানে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলে আয়কর সূত্রের খবর। ওইদিন সকালেই কলকাতায় থেকে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা রায়গঞ্জে পৌঁছে যান। ৩টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলেছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে পৌঁছেছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বাইরে থেকে বাড়ির গেট সিল করে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ির ভিতর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। সূত্রের খবর, বাড়ির ভিতরে ঢুকে পরিবারের সব সদস্যের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বিধায়কের ফোনও নিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। বাইরে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছিল না।
আরও পড়ুন: পার্ক না কি ট্রেডমিল? দৌড়নোর লাভ কোথায় বেশি? কোনটা বাছবেন?