কলকাতা : হাজরায় বিক্ষোভের প্রতিবাদে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। "আশুতোষ কলেজ মোড়ে শারীরিক হেনস্থা করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা", ট্যুইট বিজেপি নেতার (BJP Leader)।


ট্যুইটারে শুভেন্দু লেখেন, "পুলওয়ামা দিবসে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। আশুতোষ কলেজ মোড়ে শারীরিক হেনস্থা করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আশুতোষ কলেজ মোড় মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র, ভবানীপুর থানা এলাকায়।" 


আরও পড়ুন ; হাজরায় বিক্ষোভের মুখে শুভেন্দু


আজ আশুতোষ কলেজ লাগোয়া বসন্ত বোস রোডে পুলওয়ামা দিবস উপলক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে ঘোষিত অনুষ্ঠান ছিল। শ্যামাপ্রসাদ অনুশীলন কেন্দ্র পরিচালন সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী আসার আগেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন আশুতোষ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কিছু সদস্য। শুভেন্দু আসতেই তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন।


বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের উদ্দেশে কটূক্তি করেন। জোর করে সরিয়ে দেন। সেই জন্যই তাঁরা এই কাজ করেছেন। একাংশের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন। সেই ঘৃণা থেকেই একাজ করেছেন তাঁরা। শুভেন্দু আসতেই সেখানে গানের তালে তালে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিশাল জটলা তৈরি হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিছুটা ধস্তাধস্তিও হয়। অনুষ্ঠানে মাল্যদান করার পরেই বেরিয়ে যান শুভেন্দু। 


প্রসঙ্গত, গত মাসে নেতাইয়ে ‘শহীদ স্মরণে’ থাকার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু নেতাই যাওয়ার পথে শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেয় পুলিশ। এই ঘটনার জেরে প্রায় ২৫ মিনিট পুলিশের সঙ্গে শুভেন্দুর বাগবিতণ্ডা চলতে থাকে। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে শুভেন্দু বলেন, "হাইকোর্টের আদেশ নিয়েই এখানে এসেছিলাম, পুলিশ বাধা দিয়েছে। একাই নেতাইয়ে ঢুকতে চেয়েছিলাম, পুলিশ অনুমতি দেয়নি।" 


প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ ই জানুয়ারি নেতাইয়ের গণহত্যার পর থেকে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের ওই দিনটিকে নেতাই গ্রামে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করতে পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী।