কলকাতা: শিক্ষামন্ত্রকের মিড ডে মিলের রিপোর্টকে (Midday Meal) হাতিয়ার করে তৃণমূল সরকারকে (TMC Govt) আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ট্যুইট করে জানিয়েছেন, 'রাজ্য সরকার মিড ডে মিলে ১০০ কোটি টাকা বেশি দেখিয়েছে, জয়েন্ট রিভিউ মিশনের রিপোর্টে উল্লেখ। আগেই বিলেছিলাম, পড়ুয়াদের খাবারের প্লেট থেকেও চুরি করতে ইতস্তত করে না তৃণমূল সরকার।'


বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটে আরও বলেন, 'মাত্র ২টি অর্থবর্ষেই ১০০ কোটির তছরুপ, গত ১২ বছরে কত টাকা চুরি হয়েছে ভাবুন!' বিস্ময়প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন,'প্রশাসন চালানোর নামে দিনেদুপুরে ডাকাতি করছে রাজ্য সরকার'।  প্রসঙ্গত, এ বার মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের (Mid Day Meal)। ২০২২ সালে মাত্র ছ'মাসের মধ্যে মিড ডে মিল নিয়ে অন্তত ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বলা হয়েছে, গত বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এই বিপুল টাকার দুর্নীতি হয়েছে। হিসেব চাইলে ১৬ কোটি অতিরিক্ত মিড ডে মিল দেখানো হয় (Scam)। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ৭০ শতাংশ কম মিড ডে মিল খাবার সরবরাহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।


প্রধানমন্ত্রী পুষ্টি প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে শিক্ষা মন্ত্রকের জয়েন্ট রিভিও প্যানেল একটি রিপোর্ট তৈরি করে। সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। তাতেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত বছর প্রথম দুই অর্থবর্ষে রাজ্যের তরফে ১৪০ কোটি ২৫ লক্ষ মিড ডে মিলের রিপোর্ট পেশ করা হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের রিপোর্টে  ১২৪ কোটি ২২ লক্ষ মিড ডে মিলের উল্লেখ রয়েছে। মিড ডে মিল প্রকল্পে অন্তত ১০০ কোটি টাকা বেশি দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ জমা পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের থেকে রাজ্য় সরকারের রিপোর্টে ১৬ কোটি মিড ডে মিলের ফারাক ধরা পড়েছে। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ১৬ কোটি মিড ডে মিল বেশি দেখানো হয়েছে রাজ্যের তরফে।


আরও পড়ুন, 'পলাতকদের সন্ধান দিলেই ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার', মোমিনপুর হিংসাকাণ্ডে হুলিয়া জারি NIA-র


অপরদিকে, রাজ্যে মিড মিলে এর আগেও দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছিল। এর আগে রাজ্যে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) 'অনুসন্ধানে' এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। মিড ডে মিলে, আরশোলা-সহ একাধিক কীট পতঙ্গ পাওয়ার মতো  বিস্ফোরক অভিযোগ তো ছিলই। তবে তার পাশাপাশি আরও অভিযোগও এসেছিল। কী করে বারবার মিড ডে মিল নিয়ে এত অবহেলাই বা কেন ? প্রশ্ন উঠেছিল। আর ঠিক এমনই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছিল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ৭ জন মিড ডে মিলের কর্মীকে ভাগ করে দেওয়া হয় ৫জনের বেতন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রসকুঞ্জ প্রাণকৃষ্ণ হাইস্কুলে গিয়ে এমনই তথ্য় পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। সেবারও ট্যুইটে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু।