কলকাতা: বেঙ্গালুরুতে রামেশ্বরম কাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডে ২ সন্দেহভাজন গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলা থেকে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনায় কার্যত তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।  লোকসভা ভোটের মুখে এমন ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেছে বিরোধী দলগুলি। বাংলা থেকে কেন বারবার নিষিদ্ধ সংগঠনের বা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সন্দেহভাজন সদস্য ধরা পড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। 


এদিন বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলার সরকারের জন্যই এ রাজ্যে দেশবিরোধী শক্তি ঘাঁটি গাড়ছে বলেও দাবি করেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি,  'পশ্চিমবঙ্গ আন্তর্জাতিক অপরাধীদের মুক্তাঞ্চল এটা বারেবারে প্রমাণিত হয়েছে।।রাষ্ট্রবিরোধী রাজ্য সরকার থাকার জন্য এমন হচ্ছে। পুলিশকে দলীয় কর্মীতে পরিণত করে, পুলিশের নিজস্ব কাজ করতে না দেওয়ার জন্য এই অবস্থা হয়েছে। এই কারণে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ৭২টি জায়গায় বিএসএফ-কে জমি দেয়নি যাতে কাঁটাতারের বেড়া না লাগানো যায়।' ভুয়ো আই কার্ড তৈরি করার ব়্যাকেটও সোনারপুর থেকে ধরা পড়েছিল বলে মনে করিয়ে দেন তিনি।


তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিও। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দাবি, 'মমতা চান এগুলি বহাল তবিয়তে চলুক। বাংলা এর এপিসেন্টার হোক। এই কারণেই NIA ঢুকলেই মমতার গোঁসা হয়। বাংলা ক্রমশ বিপদের এপিসেন্টার হয়ে উঠছে।' X হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিয়ে তোপ দেগেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর অভিযোগ, 'দুর্ভাগ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে।'


এনআইএ সূত্রে দাবি, ভুয়ো পরিচয়ে দিঘায় আত্মগোপন করে ছিল বেঙ্গালুরুতে রামেশ্বরম কাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডে ২ সন্দেহভাজন। ধৃত মুসাভির হুসেন শাজিব মহম্মদ জুনের শাজিব নামে ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়েছিল। আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা বিগনেস ওরফে সুমিত নামে ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়েছিল। আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা কর্ণাটকের আইএসআইএস-এর সদস্য বলে সূত্রের দাবি। ধৃত দু'জনেরই মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা করে। বেঙ্গালুরুতে রামেশ্বরম কাফেতে বিস্ফোরণের পরে এ রাজ্যে নানা জায়গায় ওই দুই সন্দেহভাজন আত্মগোপন করেছিল বলে সূত্রের খবর।


যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের দাবি, রাজ্য পুলিশের সহযোগিতা পেয়েই ওই দুজনকে গ্রেফতার করেথে NIA. কুণাল ঘোষ বলেন, 'এনআইএ-কেও মানতে হল রাজ্য পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতার কথা। এনআইএ-র প্রেস রিলিজেও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতার উল্লেখ। কোথা থেকে ধরেছে? কাঁথি। সবাই জানে সেখানে কোন পরিবার দুষ্কৃতীদের আনে, আশ্রয় দেয়।' সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তোপ দেগেছেন কুণাল ঘোষ।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস শেয়ার করা যাবে ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে, আসছে নতুন ফিচার