অনির্বাণ বিশ্বাস, আবীর দত্ত, পূর্ণেন্দু সিংহ, কলকাতা: র‍্যাগিং (Ragging) বন্ধ নিয়ে রাঘবন কমিটির সুপারিশ যদি কার্যকর হত, তাহলে ছেলেটা বেঁচে যেত। সন্তান হারিয়ে আক্ষেপ করছেন, মৃত ছাত্রের বাবা। যদিও, এই নির্দেশিকা কার্যকর না করার দায় বিশ্ববিদ্য়ালয়ের (Jadavpur University) ওপরই চাপিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। অনেকেই পাল্টা বলছেন, বিশ্ববিদ্য়ালয় যে নির্দেশিকা কার্যকর করছে না, তা দেখা কি রাজ্য সরকারের দায়িত্ব নয়?                                               


ছাত্রমৃত্য়ুর ঘটনায় উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর র‍্যাগিং রোগ: র‍্যাগিং, অনেকেই যার সমার্থক শব্দ করেন, Sadistic Plessure! অন্য়কে অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে পরিতৃপ্তি। আর সেই পরিতৃপ্তি এমনই মারাত্মক, যে, এক মায়ের কোল খালি করে দিতে পারে! যাদবপুরের ছাত্রমৃত্য়ুর ঘটনায় উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর র‍্যাগিং রোগের অভিযোগ। এই ভয়ঙ্কর অসুখ রুখতে, আগেই একগুচ্ছ সুপারিশ করেছিল CBI-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর আর কে রাঘবনের নেতৃত্বাধীন কমিটি। 


প্রায় ১৬ বছর আগে... সেই ২০০৭ সালে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে! কেরলের একটি মামলার প্রেক্ষিতে রাঘবন কমিটি তৈরি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কমিটির মাথায় ছিলেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর। র‍্যাগিং রুখতে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছিল সেই কমিটি, যেমন হস্টেলে সিনিয়র ও জুনিয়রদের আলাদা রাখতে হবে। UGC-র ফোন নম্বর চালু করতে হবে, যেখানে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়। তা নিয়ে প্রচার চালাতে হবে। 


কেন এই সুপারিশ চালু করা হয়নি? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং-রোগ সারাতে প্রায় দেড় দশক আগেই তৈরি হয়েছিল ওষুধ! কিন্তু, দেশের অন্য়তম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় যাদবপুরে সেই ওষুধ প্রয়োগই হয়নি! কিন্তু কেন এই সুপারিশ চালু করা হয়নি? অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে দায় ঝাড়ার চেষ্টা করছে রাজ্য় সরকার? প্রায় ১৬ বছর আগে সুপারিশ আজও কেন যাদবপুরে কার্যকর নয়? উত্তর কে দেবে? রাজ্য় সরকার দায় এড়াতে পারে?


এ দিকে, যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুতে, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, প্রত্য়েকটি বিশ্ববিদ্য়ালয় UGC-র নির্দেশ মানতে বাধ্য়।


আরও পড়ুন: Jadavpur University: ছাত্র মৃৃত্যুতে প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা, রেজিস্ট্রারকে কী কী প্রশ্ন তদন্তকারীদের?