কলকাতা: হাসপাতালে দালালচক্র নিয়ে ফের বিস্ফোরক মদন মিত্র (Madan Mitra)। কামারহাটিতে দালালচক্রের সঙ্গে যুক্তদের কেন পুলিশ গ্রেফতার করছে না তা নিয়ে ফের সরব হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। 


বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক: এদিন মদন মিত্র বলেন, 'হাসপাতালে দালালদের প্রতিদিনের আয় ৫০ হাজার টাকা। কলকাতা পুলিশ এসএসকেএম, এনআরএসে ধরেছে, তার মানে এতদিন ছিল! কামারহাটিতে দালালরাজের বিরুদ্ধে যারা মিছিল করেছিল, তাদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। বউ-বাচ্চাকে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। কলকাতায় গ্রেফতার হল, আর কামারহাটিতে ধরতে পারছে না? পুলিশ ধরতে পারে না, এটা হয়?' মন্তব্য কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর। 


রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজ - সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে দালাল-জাল। এই অভিযোগও অবশ্য নতুন নয়। সম্প্রতি, কামারহাটিতে, সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজে এক রোগীর মৃত্যুর নেপথ্যে দালালরাজের অভিযোগে সরব হন খোদ এলাকার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। চক্রের কারবারিদের রীতিমতো হুঙ্কার দেন তিনি। শনিবার সাগর দত্তে দালাল-চক্রের অভিযোগ তুলে ২ জনের নাম নেন মদন মিত্র। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হাসপাতাল চত্বরে পোস্টারও পড়ে। কামারহাটির ২ নম্বর ওয়ার্ডের তুঁতবাগানের এক তৃণমূল কর্মীর পরিবারের অভিযোগ, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়ায় তাঁদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। NRS এবং SSKM - কলকাতার এই দুই মেডিক্যাল কলেজ থেকে দালালচক্রে জড়িত অভিযোগে মোট ৬-জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, কামারহাটির ঘটনায় কেউ ধরা না পড়ায়, নিজের সরকারের পুলিশ-কেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মদন মিত্র।                             


গতকাল এই ইস্যুতে মদন মিত্রর পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ (Arjun Singh)।  কার্যত মদনের সুরে সুর মিলিয়ে একই কথা বলেন তিনিয আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নিশানা করেন পুলিশ-প্রশাসনকে। অর্জুন সিংহ বলেছিলেন,  "অপরাধ বাড়লে জনপ্রতিনিধিদের ওপর প্রভাব পড়ে। মদনদা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। যার অপরাধ দমন করার কথা, সে যদি না করে, তাহলে কে করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশের কাজ, তাদের রক্ষা করতে হবে।'' মন্তব্য তৃণমূল নেতা ও ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের।                             


আরও পড়ুন: Birbhum News: শান্তিনিকেতনে নার্সিং পড়ুয়া মৃত্যু ঘিরে রহস্য, তদন্তে পুলিশ