সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা: 'দ্য কেরালা স্টোরি' দেখতে না পেয়ে শহরের সিনেমাহলে তুমুল উত্তেজনা। বাংলায় নিষিদ্ধ 'দ্য কেরালা স্টোরি'(The Kerala Story Banned) । গতকাল দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে 'দ্য কেরালা স্টোরি'-কে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর ইতিমধ্যেই পার হয়ে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। যা নিয়ে সারা বাংলাজুড়েই বিতর্কের ঝড়। আর এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে এদিন ট্যুইট করেছেন অমিত মালব্য।
তবে 'দ্য কেরালা স্টোরি'-কে নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। পাশাপাশি এনিয়ে বিরোধীতা করেছেন শাবানা আজমি। এদিকে এদিন সকালে দর্শকদের তুমুল বিক্ষোভ দেখা যায় শহরের প্রেক্ষাগৃহগুলিতে। এমনকি পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির দিকেও মোড় নেয় বেলঘড়িয়ায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে ট্যুইট অমিত মালব্য বলেছেন, 'নাগরিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। মানুষকে সিনেমা দেখতে যাওয়ার জন্যও লাঞ্চিত হতে হচ্ছে।'
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর গতকালই শহর থেকে হোর্ডিং খুলে নেওয়া হয়েছে। সিনেমাহলগুলিতে আর দেখানো হচ্ছে না। এদিকে অনেকেই আগাম অনলাইনে টিকিট কেটে বসে রয়েছেন। এদিন 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story Banned) দেখতে সেই মতোই বেলঘড়িয়া রূপমন্দির সিনেমা হলের দিকে রওনা হন অনেকেই। এরপরেই ঘটনা মোড় নেয়। শুরু হয় তুমুল উত্তেজনা। বিক্ষোভ দেখায় দর্শক। এরপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সিনেমা দেখতে না পারায়, পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি পর্যন্ত হয় উত্তেজিত দর্শকদের সঙ্গে।
গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, 'বিকৃত তথ্য দিয়ে সিনেমা তৈরি হচ্ছে। কেরলে সিপিএম সরকার চুপ কেন? বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ আছে। বিরোধী দলকে বুলডোজ করার অধিকার কে দিয়েছে? শাসক দলের শান্তি বজায় রাখাই কর্তব্য। কিন্তু মণিপুরের শাসক দলই অশান্তি তৈরি করেছে। বাংলায় কখনও এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।'
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ?
এই নির্দেশের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি যেটা বলছেন, তার তো উল্টো হচ্ছে, অন্য সম্প্রদায়কে টার্গেট করা হচ্ছে। যেটা সত্য, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। এরকম ঘটনা বিশ বছর ধরে কেরালায় হচ্ছে। লাভ জিহাদ থেকে শুরু করে এই যে তথ্য এসেছে, আদালতও মেনে নিয়েছে। উনি কেন ভয় পাচ্ছেন ? যেদিন বেঙ্গল স্টোরি তৈরি হবে তখন কী করবেন উনি ?' প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ।