রঞ্জিৎ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ইডি হেফাজতে থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বারুইপুরের (baruipur) বাগানবাড়িতে (farmhouse) চুরির অভিযোগে চাঞ্চল্য। অভিযোগ, গত কাল রাত ১টা নাগাদ তাঁর বেগমপুরের বাগানবাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। অন্তত চার জন ছিল সেই দলে।
কী ঘটেছে?
আশপাশের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গত কাল রাত ১টা নাগাদ হঠাতই তালা ভাঙার আওয়াজ পান তাঁরা। শুনে বেরিয়েও এসেছিলেন। কিন্তু তাঁদের হুমকি দিয়ে নিজেদের ঘরে চলে যেতে বলা হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। স্থানীয়দের দাবি,বাড়ির কিছু কাছেই একটি গাড়ি দাড় করানো ছিল। তালা ভাঙার আওয়াজ পাওয়ার কিছু ক্ষণ পরই জিনিসপত্র ওই গাড়িতে চাপিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু সূত্রের খবর, তৃণমূল মহাসচিবের বাগানবাড়ি থেকে ঠিক কী চুরি হয়েছে এখনও স্পষ্ট নয়। কারাই বা এই চুরির নেপথ্যে, সেটাও ধোঁয়াশায় ঢাকা। পার্থর ইডি হেফাজতে থাকাকালীন এমন চুরির ঘটনায় আরও কিছু প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিক ভাবেই। তবে এখনও একটিরও উত্তর জানা যায়নি।
এখনও পর্যন্ত যা ঘটেছে...
টালিগঞ্জের পর এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেও টাকার পাহাড়। ইডি সূত্রে খবর, ১৮ ঘণ্টার অপারেশনে ক্লাবটাউন হাইটসের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও, মিলেছে ৬ কেজি সোনা। যার মূল্য ৩ কোটিরও বেশি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর সোনার বাট, মুঠো মুঠো রুপোর কয়েন ও সম্পত্তির দলিল। অর্পিতার ফ্ল্যাটে শোওয়ার ঘর ও শৌচাগার থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা ও সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। মোট ৭টি ট্রাঙ্কে টাকা ও একটি ট্রাঙ্কে সোনা বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয় স্ট্র্যান্ড রোডে স্টেট ব্যাঙ্কের সদর দফতরে। একসপ্তাহের মধ্যে টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ায় অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট মিলিয়ে উদ্ধার হল ৫০ কোটি টাকা। বেলঘরিয়ায় অর্পিতার আরেকটি ফ্ল্যাট সিল করে দিয়েছে ইডি। যদিও সূত্রের খবর, অর্পিতা জেরায় বার বার জানিয়েছেন তিনি কিছুই জানেন না। কিছুই করেননি। তা হলে টাকা এল কোথা থেকে? কে বা কারা রেখেছিলেন? প্রশ্ন বহু, ঘনাচ্ছে রহস্য।