কলকাতা: শাসবিরোধী তরজায় ফের উত্তাল কলকাতা পুরসভার অধিবেশন। তৃণমূলের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন বাম এবং বিজেপি কাউন্সিলররা। চেয়ারে বসা নিয়ে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের মধ্যে তীব্র বচসা বাধল। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয় দু'ক্ষের মধ্যে। তাতে বেশ কিছু ক্ষণের জন্য স্থগিত রইল কলকাতা পুর-অধিবেশনের কাজ। (KMC Chaos)
শনিবার অধিবেশন তলাকালীন এই ঘটনা ঘটে কলকাতা পুরসভায়। তার জেরে বন্ধ রাখতে হল অধিবেশনের কাজ। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর শামসুজ্জামান আনজারি আজ দেরি করে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন। এর পর বিরোধীদের জন্য বরাদ্দ থাকা জায়গায় বসতে যান তিনি, যেখানে বসার কথা ছিল না তাঁর। কারণ প্রাক্তন মেয়র পারিষদদের জন্য আলাদা আসন বরাদ্দ রয়েছে। (Kolkata News)
জানা গিয়েছে, এদিন পুরসভার কক্ষে ঢুকে বিজেপি-র পরিষদীয় দলনেত্রী মীনাদেবী পুরোহিতের জন্য বরাদ্দ জায়গায় শামসুজ্জামান আনসারি বসতে যান। তাঁকে বিরোধীদলের কাউন্সিলর বারবার বলতে থাকেন, ওটা মীনাদেবীর জন্য বরাদ্দ জায়গা। তার পরও মীনাদেবীর ডেস্কের উপরে রাখা যাবতীয় কাগজপত্র এবং বই, পাশের আসনে শামসুজ্জামান ছুড়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Mass Marriage: গণবিবাহে ১২১ জোড়া পাত্র-পাত্রীকে সোনার গয়না-TV উপহার, ভবিষ্যতের কথা ভেবে জীবনবীমাও
বিজেপি-র অভিযোগ, জোর করে ওই আসনেই বসার চেষ্টা করেন শামসুজ্জামান। তাতে বাধা দেন বিজেপি-র কাউন্সিলর সজল ঘোষ, বিজয় ওঝা, মধুচ্ছন্দা দেবরা। কিন্তু শামসুজ্জামান তাঁদের কথা শুনতে চাননি বলে অভিযোগ, তাতে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। বিজেপি-বামেরা একযোগে শাসকদলকে নিশানা করেন। তৃণমূলের তরফে এগিয়ে যান তপন দাশগুপ্ত, অসীম বসুরা। দু'পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে কিছু ক্ষণের জন্য অধিবেশনের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন চেয়ারপার্সন। চিৎকার-চেঁচামেচি চলতে থাকে। এর পর শাসকদলের কাউন্সিলররা দুই পক্ষের কাছে গিয়েই হাত জোর করে চুপ করান। এই ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ করে সজল বলেন, "পাড়ার চোর,গুন্ডাদের নির্বাচিত করে নিয়ে এলে এমনই হয়। হয় মানসিক বিকৃতি রয়েছে, নইলে সিবিআই-ইডি-র ভয়ে দিশা হারিয়েছেন। কখনও অন্য চেয়ারে বসতে দেখিনি। ওই চেয়ারে বসারই কথা নয় ওঁর। তার উপর অন্যের জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে দেওয়া যায় কি? গণতন্ত্রের জন্য লজ্জা।"
যদিও শামসুজ্জামানের দাবি, ওই চেয়ার বিজেপি-র জন্য বরাদ্দ বলে লেখা ছিল না। তিনি বলেন, "আগে ওখানেই এসে বসতাম আমি। এবারে যাই এসেছি, চিৎকার শুরু করে দেয়। চেয়ারপার্সন বলার পর সরেও যাই আমি। চেয়ার নিয়ে কেন ঝগড়া করতে যাব? আর কাগজপত্র ফেলব কেন, পাশের বিজেপি লেখা চেয়ারে তুলে দিয়েছিলাম শুধু।"