শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Elections 2024) বিজেপি (BJP) প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক হেরে গেছেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) প্রার্থী জগদীশ বর্মা বাসুনিয়ার কাছে। আর তারপরই কোচবিহারে (Coochbehar) শুরু হয়েছে দলবদলের হিড়িক। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েতে নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করা একাধিক পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যরা একে একে গেরুয়া শিবির ছেড়ে দল দলে যোগ দিচ্ছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলে (TMC)। ফলে যতদিন যাচ্ছে একটার পর একটা গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। এবার বিজেপি পরিচালিত কোচবিহারের আরও একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল কংগ্রেস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের রুইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। ২৩টি আসন বিশিষ্ট এই গ্রাম পঞ্চায়েতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করেছিল ১৩টিতে আর তৃণমূল জয়লাভ করে দশটিতে। গত ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেই বিজেপির একজন জয়ী সদস্য গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
আর গতকাল রাতে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের আরও একজন বিজেপির টিকিটে জেতা পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ১২ আর বিজেপির সদস্য সংখ্যা কমে হয় ১১। এর জেরে ওই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোচবিহার জেলায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছিল। কিন্তু, গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল। এরপরই বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে, মানুষের ভোটে না জিতে জোর করে গ্রাম পঞ্চায়তেগুলি দখলের চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও রাজ্যের শাসকদলের দাবি, রাজ্যব্যাপী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে উন্নয়ন করছেন। সেই উন্নয়নের অংশীদার হওয়ার জন্য ওই বিজেপি সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই বিষয়ে বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।