কলকাতা: এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) চিঠি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA এবং BJP-র মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে বলে আগেই সরব হয়েছে তৃণমূল। দিল্লিতেও বিষয়টি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চালাচ্ছে তারা। কিন্তু বিষয়টি বিয়ে নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ করেছেন অভিষেক। বরং প্রতিবাদ করায় দিল্লিতে তৃণমূল নেতৃত্বকে আটক করা হয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। (NIA-BJP Alleged Nexus)


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে NIA-BJP আঁতাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। সেই নিয়ে গতকাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনেও যান অভিষেক। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয় তাঁদের। সোমবার বিষয়টি নিয়ে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে সেই নিয়ে রাজ্যপালকে ছ'পাতার চিঠি দিলেন অভিষেক। 


রাজ্যপালের সঙ্গে গতকাল কী কী আলোচনা হয়, চিঠিতে তার উল্লেখ করেছেন অভিষেক। অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন অভিষেক। গোটা ঘটনায় কমিশনকে উপযুক্ত পদক্ষেপের নির্দেশ দিন রাজ্যপাল, আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বাংলায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় সংস্থারদের ডিরেক্টরদের বদলির যে দাবি তুলছে জোড়াফুল শিবির, সেই নিয়ে হস্তক্ষেপও প্রার্থনা করা হয়েছে।



আরও পড়ুন: Mahua Moitra: আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার রয়েছে মহুয়ার, জানাল আদালত, তিরস্কার প্রাক্তনকে


অভিষেক চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র চলছে। কোন উপায়ে NIA-BJP ষড়যন্ত্রের রচনা হয়, NIA সুপার ধনরাম সিংহের বাড়িতে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি কী করছিলেন, সেই নিয়ে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিষেক। জানিয়েছেন, দিল্লিতে প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাঁদের দলের ১০ জনকে হেনস্থা করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বেআইনি ভাবে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হওয়ার পরও যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জলপাইগুড়ির মানুষদের সাহায্য় করা যায়, সেই মর্মে অনুমতি দিতেও রাজ্যপালকে আবেদন জানিয়েছেন অভিষেক।


NIA-BJP আঁতাতের অভিযোগ নিয়ে এই মুহূর্তে দিল্লিতে ধর্না দিচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। গতকালই কমিশনে অভিযোগ জানান তাঁরা, তার পর কমিশনের বাইরে ধর্নায় বসেন।  সেখানে শান্তনু সেন, দোলা সেন, অর্পিতা ঘোষদের একে একে গাড়িতে তোলে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ। মন্দির মার্গ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সারা রাত থানায় কাটানোর পর, মঙ্গলবার সকালে থানা চত্বরের ভিতরেই গেটের মুখে ধর্নায় বসেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।