কলকাতা: অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Former CM Buddhadeb Bhattacharya)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফের বেলাগাম আক্রমণ করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। ‘সন্ত্রাসের কথা মনে করিয়ে দিতে হবে' বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
কী বললেন কুণাল ঘোষ?
মণিপুরের হিংসা নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভার আয়োজন করে। সেই সভা থেকে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'বুদ্ধদেববাবু সুস্থ হোন, কিন্তু সন্ত্রাসের কথা মনে করিয়ে দিতে হবে। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জমানায় বাংলায় সন্ত্রাসের রাজত্ব। মরিচঝাঁপি, সাঁইবাড়ি, নানুর, নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর, নেতাই, বানতলা। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেবের জমানায় বাংলাকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছিল সিপিএম। বুদ্ধদেববাবু সুস্থ হোন, কিন্তু প্রতি পদক্ষেপে সন্ত্রাসের কথা মনে করিয়ে দিতে হবে।'
রোগসজ্জায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে ঘিরে এখন শুধুই হাজারো চিকিৎসা সরঞ্জামের আওয়াজ। আর লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রার্থনা, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন তিনি। কিন্তু সেই তাঁকে কেন্দ্র করেই, ফের বিতর্কিত মন্তব্য কুণাল ঘোষের। এদিন তিনি বলেন, "প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে শ্রদ্ধা জানাব। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দ্রুত আরোগ্য কামনা করব। কিন্তু আমরা প্রতি পদক্ষেপে মনে করিয়ে দেব জমানায় বাংলায় সন্ত্রাসের রাজত্ব চলেছিল। বাংলাকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছিল। কয়েক প্রজন্ম ইংরেজি শিখতে পারেনি। অথচ ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে সিপিএম নেতাদের ছেলেমেয়েরা পড়েছে। কম্পিউটার ঢুকতে দেব না বলে আন্দোলন করেছিল। বাংলা তথ্যপ্রযুক্তিতে পিছিয়ে গেল। ছেলেদের রক্তমাখা ভাত ছেলেদের খাওয়ানো হয়েছিল। নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর, নেতাই, বানতলা জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেবের জমানায় সন্ত্রাস, কৃষিজমি দখল সিপিএম করে গিয়েছে। বুদ্ধদেববাবু সুস্থ হোন, কিন্তু সন্ত্রাসের কথা নতুন প্রজন্মকে জানিয়ে দিতে হবে।''
কুণালের গলায় যখন কটাক্ষের সুর, তখন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলছেন তাঁরই দলীয় সতীর্থ মদন মিত্র। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, 'বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শিরদাঁড়া সোজা, এটা আমি জানি। অসৎ হলে ভগবান বুদ্ধের সততা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।' কুণালের কটাক্ষের মধ্যেই ভিন্ন সুরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় মদন মিত্র।
এর আগে গতকাল কুণাল ঘোষ বলেন, "বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। কিন্তু এই আরোগ্য কামনার সঙ্গে যাঁরা আদিখ্যেতা করে তাঁকে মহাপুরুষ সাজাচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে একমত নই। কারণ বুদ্ধবাবুর জমানায় সিপিএম অনেক খারাপ কাজ করেছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ঔদ্ধত্যে বহু ক্ষতি হয়েছে। অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। হাসপাতালে দেখতে গিয়ে কার্যকরী কাজ হবে না। বুদ্ধবাবুর স্বাস্থ্য নিয়ে দায়িত্বশীল অভিভাবকের মতো খোঁজ খবর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী।''
আরও পড়ুন: Buddhadeb Bhattacharya: ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে