কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শেষ হতে না হতেই সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তোপ দাগলেন কুণাল ঘোষ। মূলত রাজ্যে এসে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান এবং নারী নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সেই ইস্যুতেই এবার মুখ খুললেন কুণাল।
আরও পড়ুন, TMC নিজের স্বার্থের জন্য অনুপ্রবেশকারীদের নকল কাগজ বানিয়ে দিচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী মোদি
এদিন প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে কুণাল ঘোষ বলেন, কতটা মিথ্যাচার করলেন..মিথ্যাচার বলতেও রুচিতে বাধছে। কিন্তু মিথ্যাচার হয়েছে। উনি কথা বলছেন বড় বড়। খালি হাতে এসছেন কেন ? বাংলার ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি, বকেয়া দেন না। যেটা দৃশ্যমান বকেয়া, সেটা উনি দেন না। আর যেটা অদৃশ্য ৫ হাজার কোটি, তার একটা গল্প শুনিয়ে গেলেন। দৃশ্যমান বকেয়া যেটা, যে জেলার এলাকায় দাঁড়িয়ে কথা বলছেন, সেখানকার ১০০ দিনের কাজ করিয়েও টাকা দেননি। টাকা কে দিয়েছে ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চন্দ্রিমাদিরা দিয়েছেন। আবাসের টাকা দেননি। যেটা দীর্ঘ দিন ধরে ওনাদের করার কথা, কেউ দয়া চাইছে না। মিথ্যাচার কোন জায়গায় যায়, ওদের প্রতিশ্রুতি ছিল, বছরে ২ কোটি চাকরির। পার্লামেন্টেরই স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বলেছেন, মাত্র ২২ লাখ চাকরি হয়েছে। দেশের যুবকদের মধ্যে ৩০ শতাংশ বেকার। সারাদেশে বেকারত্বের গড় বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের গড়টা নিম্নমুখী।'
অপরদিকে, আরজি কর কাণ্ডের পাশাপাশি গতকয়েক দিন কসবাকাণ্ড, জোকা আইআইএম এর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। তারপর একের পর এক কলেজের ইউনিয়ন রুমের শিউরে ওঠা ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতাদের। চাপের মুখে শাসকদল। এহেন পরিস্থিতিতে নারী নির্যাতনের ইস্যুতে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মা-মাটি-মানুষের সরকার মহিলাদের প্রতি অন্যায় করেছে। বাংলায় হাসপাতাল মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত নয়। এখানে চিকিৎসকের ওপর অত্যাচার হয়েছে, কিন্তু টিএমসি সরকার অভিযুক্তদের বাঁচায়। এই ঘটনা ঘটার পরেই আরও একটি কলেজে মহিলার ওপর অত্যাচার। টিএমসির বড় নেতা-মন্ত্রী অভিযুক্তদের বদলে অভিযোগকারীকেই দোষী সাব্যস্ত করে। আমরা সবাই মিলে এই নির্মমতা থেকে মুক্তি দেব।'
এই ইস্যুতে কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ইউপিতে পুলিশ ছাত্রীকে রেপ করছে। মহারাষ্ট্রের পুণেতে রেপ। মোদির গুজরাতে, সুপ্রিম কোর্ট বিলকিসের পরিবারের ধর্ষণ এবং খুনের জন্য যাদের যাবজ্জীবন দিয়েছে, বিজেপি তাঁদের দরজা খুলে দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট আবার তাঁদের জেলে ফেরৎ এনেছে। সারা দেশ নারী নির্যাতনে। পশ্চিমবঙ্গে একটাও ঘটনা আমরা চাই না। বাম জামানার থেকে কমেছে। অন্য রাজ্যর থেকে কম। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির অধিকার নেই এখানে এসে কথা বলার, কারণ তাঁর দলের রাজ্যগুলিতে এই জিনিস হয়ে আছে। সম্পূর্ণভাবে মিথ্যাচার করেছেন।