কলকাতা: পৌরসভা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে তল্লাশি (CBI Raids)। একই দিনে তল্লাশি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতেও। রবিবার সকাল থেকে একযোগে মোট ১২টি জায়গায় হানা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI). আর সেই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। এ নিয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ- (Kunal Ghosh)। 


রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন কুণাল। ট্যুইটার হ্যান্ডলে (অধুনা X) লেখেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না হিট। বিজেপি-র উপর চাপ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে আসতে হয়েছে। তাতেও ফল শূন্য। রাজ্যপাল কোণঠাসা। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই নজর ঘোরাতে রাজনৈতিক পরিকল্পনায় আবার নামানো হল কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। বিজেপি-র আত্মরক্ষার অস্ত্র। এই করে তৃণমূলকে দমানো যাবে না'।


তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবও এদিন প্রতিক্রিয়া জানান। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "কেউ যদি ভুল করে থাকে, তার শাস্তি হওয়া উচিত। আর যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়, তাহলে ভবিষ্যতের জন্য খারাপ। কারণ সারাজীবন কারও হাতে ক্ষমতা থাকবে না। অন্যরা যখন ক্ষমতায় আসবে, তারাও একই পন্থা নেবে, যা দেশের জন্য খারাপ।"



আরও পড়ুন: Dev on CBI Raids: ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ CBI-এর, প্রতিক্রিয়া জানালেন দেব


তৃণমূলের তরফেও সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়, ''ক্ষমতায় থাকা মানুষের থেকে মানুষের ক্ষমতা অনেক বেশি। আমরা কারও কাছে মাথা নত করব না'। যদিও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাা চরিতার্থ করার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি। দলের নেতা রাহুল সিন্হা বলেন, "প্রতিহিংসা হলে টাকার পাহাড় উদ্ধার হল কেন? চোর ধরার কাজ চলছে।" এই টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছে সিপিএম-কংগ্রেসও। গোটাটাই না গিমিক হয়ে রয়ে যায়, আশঙ্কা প্রকাশ করে তারা। দ্রুত তদন্ত শেষ করার দাবি জানান ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিও। 


আবার রাজভবনের সামনে অভিষেকের ধর্না কর্মসূচি নিয়েও টানাপোড়েন শুরু হয়েছে এদিন দুপুর থেকে। রাজভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি সত্ত্বেও কোন উপায়ে ধর্না তৃণমূলের? যেখানে ১৪৪ ধারা জারি, সেখানে ধর্নার অনুমতি কে দিয়েছে? কোন যুক্তিতে রাজভবনের সামনে মঞ্চ বেঁধে চলছে অবস্থান? মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে জানতে চাইল রাজভবন।