কলকাতা : "সুব্রত বক্সী পার্টিটা করেন ৩৬৫ দিন, পার্থ সবাইকে চেনে বলে মনে হয় না। দিদি দায়িত্ব দিয়েছেন, কিন্তু পার্থ আদৌ পশ্চিমবঙ্গে দলের সবাইকে চেনে বলে মনে হয় না। বক্সী চেনেন।" প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিতর্কে এবার মদন মিত্রর নিশানায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মদন মিত্রের কটাক্ষের মুখে পাল্টা জবাব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, "ওইসব লোকের কথা শুনে লাভ নেই, এতে কিছু এসে যায় না। ওঁর ছেলের বউ যাতে ভালমতো জেতে সেটা নিশ্চয়ই চেষ্টা করব।"


প্রার্থী তালিকা নিয়ে শাসকদলে নজিরবিহীন বিক্ষোভ। কোথাও প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার, তো কোথাও প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিতে জেলা সভাপতির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, কোথাও আবার দল পরিবর্তনের হিড়িক পড়তে দেখা গেছে। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া থেকে শুরু করে হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর- রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে গেছে ক্ষোভের আঁচ।


আরও পড়ুন ; ‘আমি সমব্যথী, মমতা-অভিষেককে চিঠি লিখব’, প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভে বললেন মদন


এই পরিস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ নেতা এবং কর্মীদের পাশেই দাঁড়াতে দেখা যায় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে (Madan Mitra) । সকলকে মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দেন মদন। সেই সঙ্গে জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি দলনেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) চিঠি লিখবেন । ক্ষোভের কথা জানাবেন।


তিনি বলেন, ‘‘এমন অনেক প্রার্থীকে জানি, যাঁরা দেওয়াল লিখনও করে ফেলেছিলেন। এটা স্বাভাবিকই। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হিসেবে আমি যদি জানতে পারি যে প্রথম বিভাগে পাশ করে ফেলেছি। কিন্তু পরে গিয়ে দেখা যায়, তা হয়নি। দুঃখ তো হবেই। ওঁদের জন্য আমি সমব্যথী। কেন এমন হল। দলীয় নেতৃত্ব নিশ্চয়ই বিবেচনা করে দেখছেন। আসলে এই মুহূর্তে তৃণমূল যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের মতো। এখানে যাই হোক না কেন, তৃমমূলই জিতবে। সে রাস্তা অবরোধই হোক বা টায়ারই জ্বলুক।’’


যদিও আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জানান,  "প্রার্থী তালিকায় সই করেছি আমি ও সুব্রত বক্সী (Subrata Bakshi)। জেলা সভাপতিদের কাছে সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে। যেখানে সমস্যা ছিল, সেগুলিও ঠিক করে গতকাল পাঠানো হয়েছে। এই প্রার্থী তালিকা নিয়ে আর ক্ষোভ থাকা উচিত নয়। মমতার উন্নয়নে সবাই সামিল হতে চাইছেন। কিন্তু প্রার্থী তো একজনই হন, সবাইকে প্রার্থী করা যায় না। দলের নেত্রী এক, প্রতীক এক, সবাই দলের পাশে দাঁড়ান। গতবারের থেকেও বেশি আসনে তৃণমূলকে জয়ী করতে হবে।"