কলকাতা: সাড়ে ৯ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি। ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে নথি দেখলেন সিবিআই আধিকারিকরা। করা হল জিজ্ঞাসাবাদও। কিন্তু কিছুই বাজেয়াপ্ত করলেন না সিবিআই আধিকারিকরা। দীর্ঘ তল্লাশির পর সাংবাদিক বৈঠক করে পুরমন্ত্রী বলেন, 'গয়না, নথি-দলিল যা পেয়েছে। দেখেছে--কিছুই নিয়ে যায় নি। লিস্ট করেছে।' 


আর কদিন পরেই পুজো। দেবীপক্ষ শুরুর আগে শেষ রবিবার। সেদিনই পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Scam Case) নিয়ে কার্যত ম্যারাথন তল্লাশিতে নামল CBI. একইদিনে মদন মিত্র এবং পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই। ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে তল্লাশি চলল প্রায় সাড়ে নয় ঘণ্টা ধরে। তল্লাশির সময় বাইরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মেয়র-কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম।


সাড়ে নয় ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন তল্লাশির পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা হলে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তীব্র ক্ষোভে তোপ দেগেছেন মেয়র। তাঁর প্রশ্ন, 'আমি কি চোর? আমি কি চুরি করেছি? বারবার এই হ্য়ারাসমেন্ট কেন? বিজেপির কাছে মাথানত করব না বলে? আজ আমার ভাইয়ের শ্রাদ্ধ সেখানে যেতে দিল না। কী অপরাধ করেছি।'


রবিবার সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ। পৌঁছয় CBI-এর ২০ জন অফিসারের টিম। চেতলায় ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি ঘিরে ফেলেন তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে আসা সিআরপিএফ জওয়ানেরা। CBI-এর টিম এসে পৌঁছনোর কিছুক্ষণের মধ্য়েই এসে পৌঁছন মন্ত্রীর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম। অভিযোগ, তাঁকে ঢুকতে বাধা দেন CRPF জওয়ানরা। যদিও তারপরে বাড়িতে ঢুকতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।            


এদিন সকালে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা এসে পৌঁছনোর পরপরই বাড়ির বাইরে জড়ো হতে থাকেন স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তাঁরা, ওঠে স্লোগানও। বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখতে ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির রাস্তা।           


এদিন সিবিআইয়ের তল্লাশির ঘটনায় ,বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড়ি করিয়েছেন ফিরহাদ-কন্যাও। তিনি বলেন, 'সিবিআই অফিসারদের উপর কোনও রাগ নেই। ওঁরা কাজ করছেন। রবিবারও কাজ করতে হচ্ছে। ওঁরা দেশের ভালর জন্য কাজ করতে চান। ওঁদের যখন বিজেপি নেতাদের ফোন কল শুনে বিরোধী নেতাদের বাড়ি তল্লাশি করতে হয়। সেটা তাঁদের জন্যও অপমানজনক।'


আরও পড়ুন: ভাসছে ঘাটাল! পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পথে সাংসদ দেব