কলকাতা: হাসপাতালে এবার বাউন্সার চান মদন মিত্র। সাধারণ বেসরকারি রক্ষী নয়, বাউন্সারের দাবি মদনের। এদিন তিনি বলেন, ভগবানের কাছে কিন্তু আমরা জীবন দাবি করি না, ডাক্তারদের কাছে করি। আর সেই জায়গাটায় ধাক্কা খেয়ে যে মেয়ে মারা গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অ্যাকশন নিয়েছে।আমার মনে হয়, হাসপাতালে যে স্বাভাবিক নিরাপত্তারক্ষী থাকে, এগুলি উঠিয়ে দিয়ে, একেবারে সিরিয়াসলি ট্রেনড বাউন্সার রাখার দাবি জানিয়েছেন তিনি।


সম্প্রতি সাগর দত্ত হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর হামলা-কাণ্ডে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের শো-কজ করা হয়েছে। ওইদিন ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে যাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের শো-কজ করলেন হাসপাতাল সুপার। নিরাপত্তারক্ষী যাঁরা সরবরাহ করেন, সেই সংস্থাকেও শো-কজ করলেন হাসপাতালের সুপার। হামলাকাণ্ডের পর ফিরল হুঁশ, হাসপাতালে লাগানো সিসি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়াচ্ছে হাসপাতাল। আগে ছিল ২৪৪টি ক্যামেরা, আরও ৩৩০টি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে হাসপাতালের তরফে।  


শুক্রবার সাগর দত্ত মেডিক্যালে ঢুকে জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর রীতিমতো হামলা চালায় রোগীর আত্মীয়রা। আর এই ঘটনার প্রসঙ্গ এবার উঠে এল সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানিতে। সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবীর তোলা এই ইস্যুতে, পাল্টা ডাক্তারদের না আসার কারণে রোগীমৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী। যা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকরা। 


চিকিৎসরা গাফিলতিতে রোগী মৃত্য়ুর অভিযোগে ধুন্ধুমার। আক্রান্ত চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য়কর্মী। শুক্রবারের এই ঘটনার পর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন সাগর দত্ত মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার আর জি কর মামলার শুনানিতেও সুপ্রিম কোর্টে উঠে আসে সাগর দত্ত মেডিক্য়াল কলেজে হামলার প্রসঙ্গ। এই সবের মধ্যেও ২ টো হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, উন্মত্ত জনতা ঢুকে হামলা করেছে। পুলিশ, বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী, রাত্তিরের সাথী এরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। দ্বিতীয় হামলার ঘটনা ঘটেছে রবিবার। রাজ্য় সরকারের আইনজীবীর বক্তব্য়ের তীব্র বিরোধিতা করেছেন সাগর দত্ত মেডিক্য়াল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা।


আরও পড়ুন, রাজ্যের ৭ জেলায় হলুদ সতর্কতা, পুজোর মাসেও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি কলকাতায় ? আগামীকাল কেমন থাকবে আবহাওয়া ?


অপরদিকে, আর জি কর-কাণ্ডের আবহে, এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে, সম্প্রতি বিস্ফোরক দাবি করেন তৃণমূলেরই বিধায়ক মদন মিত্র। বলেন, একটা-দু'টো দুর্নীতি হলে আটকানো যায়। স্বাস্থ্য় ব্য়বস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। SSKM-এ স্বজনপোষণ, পোস্টিং এমনকী পরীক্ষা নিয়েও চাঞ্চল্য়কর দাবি করেছেন, এই হাসপাতালের রোগীকল্য়াণ সমিতির একদা চেয়ারম্য়ান মদন মিত্র।