Abhishek Banerjee: 'যা হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক' সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ খুললেন অভিষেক

Sandeshkhali Chaos: ৫ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি, মাঝে পেরিয়ে গেছে ২৪টি দিন, সন্দেশখালিতে, ED-র ওপর হামলার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড, শেখ শাহজাহানকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। 

Continues below advertisement

কলকাতা: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Chaos) এবার মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। 'যা হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক' বলে মন্তব্য করলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। না জানিয়ে গেলে পুলিশকে দায়ী করা যায় না বলে দাবি অভিষেকের।

Continues below advertisement

সন্দেশখালিকাণ্ডে মুখ খুললেন অভিষেক: ৫ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি, মাঝে পেরিয়ে গেছে ২৪টি দিন, সন্দেশখালিতে, ED-র ওপর হামলার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড, শেখ শাহজাহানকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'যা হয়েছে, তা না হলেই ভাল হত, কিন্তু পুলিশকে জানানো হয়নি কেন?'

ইডির তলবে হাজির হলেন না শেখ শাহজাহান: রেশনদুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে এদিন শেখ শাহজাহানকে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু, শেখ শাহজাহান তো নয়ই, তাঁর আইনজীবী বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি, সিজিও কমপ্লেক্সে দিনভর যোগাযোগ করেননি। ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়েন ED ও CRPF। রক্তাক্ত হন ইডির আধিকারিকরা। এর ১৯ দিনের মাথায়, গত বুধবার সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ED। কিন্তু, ৬ ঘণ্টার উল্লেখযোগ্য় তেমন কিছুই পায়নি কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেদিনই তৃণমূল নেতার বাড়িতে এই নোটিস টাঙিয়ে আসেন ED-র আধিকারিকরা। ২৯ তারিখ, অর্থাৎ, সোমবার সকাল ১১টায় তাঁকে তলব করা হয় CGO কমপ্লেক্সে। কিন্তু, ED সূত্রে খবর, দিনভর শেখ শাহজাহান বা তাঁর আইনজীবীর তরফে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। কোনও মেল বা চিঠিও পাঠানো হয়নি ED দফতর। এই পরিস্থিতিতে শেখ শাহজাহানকে ফের নোটিস পাঠাতে পারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পরপর নোটিস না পাঠিয়েও যদি না আসে, তাহলে কোর্টের দ্বারস্থ হবে। ওয়ারেন্ট ইস্য়ু করা হতে পারে।

এদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে বেপাত্তা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মাছ বিক্রির কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের মারাত্মক অভিযোগ সামনে এসেছে। বাসন্তী হাইওয়ের হাড়োয়া ঘোষপুরের কাছে একটি মাছ প্রসেসিং সংস্থায় মাছ সরবরাহ করতেন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ বিবিন্ন জেলার ব্য়বসায়ীরা। তাঁদের দাবি, ওই সংস্থায় এজেন্ট হিসেবে মাছ সরবরাহ করতেন শেখ শাহজাহানও। ২০১৮ সালে ওই সংস্থা মাছ ব্য়বসায়ীদের ১০ কোটি টাকা আটকে দেয় বলে অভিযোগ। এর জেরে তৃণমূল নেতা ওই কোম্পানিতে তালা ঝুলিয়ে দেন বলে দাবি মাছ ব্য়বসায়ীদের। কিন্তু, সব মাছ অন্য় সংস্থায় বিক্রি করলেও শেখ শাহজাহান তাঁদের টাকা দেননি বলে অভিযোগ মাছ ব্য়বসায়ীদের।

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ১০০ দিনের বকেয়া নিয়ে ফের কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি, এবার ডেডলাইন বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola