কলকাতা:  ডাক্তারদের দাবিতে মান্যতা দিয়ে সরানো হচ্ছে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে। গতকাল খবর আসতেই ঢাক, উলু, শঙ্খধ্বনিতে উৎসবে ফিরেছে ধর্না মঞ্চ। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এবার সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। লিখলেন, 'সত্যমেব জয়তে।'


কী প্রতিক্রিয়া সুখেন্দুশেখর রায়ের? 


আর জি কর কাণ্ডে ২ স্বাস্থ্য কর্তা সহ কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থকেও সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠকের পর এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি লেখেন, "জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের আন্দোলনের চাপ। আর সেই আন্দোলনের চাপে শেষপর্যন্ত জোড়া দাবি পূরণ হল। সত্যমেব জয়তে। সবার মতো আমিও খুশি।''


সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর-মামলার শুনানির আগের দিন গতকাল কালীঘাটে ৫ ঘণ্টার বৈঠকে অধিকাংশ দাবি মানলেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্যকরী হলে তবেই কাজে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। গতকাল ম্য়ারাথন বৈঠকের পর, আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদার ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে সরানোর কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরানো হবে DC নর্থ অভিষেক গুপ্তকেও। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, মৌখিক আশ্বাস মিলেছে, তা কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া হবে। আজ স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানের অষ্টম দিন। এখনও স্বাস্থ্য সচিবের ইস্তফার দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিকেল চারটের পরে কলকাতা পুলিশে বদল হবে। বিনীত যেখানে কাজ করতে চেয়েছেন, সেখানে পাঠানো হবে। জুনিয়র চিকিৎসকদের চারটি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি এটা বলি বৈঠকটা সদর্থক হয়েছে বলে আমি মনে করি। ওরা নিশ্চয়ই মনে করে, তা নাহলে তারাই বা সই করবে কেন আর আমাদের মুখ্যসচিবই বা সই করবে কেন? আমরা বরং ওদের দাবি একটু বেশিই মেনেছি, তার কারণ ওরা ছোট বলে।''           


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: West Midnapore Flood: বিপদসীমার উপরে বইছে শিলাবতী, ভাঙল বাঁধ, আতঙ্কে বাসিন্দারা