রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: আদালতের (Court) নির্দেশে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হল বেআইনিভাবে নির্মিত তৃণমূলের পার্টি অফিস। পঞ্চায়েত প্রধান ও তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে বড়ঞায় বেআইনি নির্মাণ তৈরি করার অভিযোগ। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে, জেসিবি দিয়ে ভেঙে ফেলা হল তৃণমূলের কার্যালয়।
আদালতের নির্দেশে শেষমেষ ভাঙা হল অবৈধভাবে নির্মিত তৃণমূলের কার্যালয়। মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙে দিল প্রশাসন। গুঁড়িয়ে দেওয়া হল অবৈধ নির্মাণ। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে, বেআইনিভাবে নির্মিত অবৈধ পার্টি অফিস ভাঙার কাজ শুরু হয়। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন, 'হাইকোর্ট এই বিল্ডিং ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা কোর্টের নির্দেশ পালন করছি।'
এই নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বড়ঞা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে এই কার্যালয় তৈরির অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়রা বাধা দিলেও লাভ হয়নি।আদালতের দারস্থ হন স্থানীয় বাসিন্দা সফিউল রহমান। অভিযোগকারী সফিউল রহমান বলেন, আইনের জয় হল। ২ বছর সময় লাগল। গায়ের জোরে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ নির্মাণ করা হলে আইন ব্যবস্থা নেবে।
বড়ঞা পঞ্চায়েত প্রধান জ্যোৎস্না বিবি বলেন, 'ওরা ৪৩,৪৪ ভাঙছে। ৪৫ ভাঙেনি। এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব। যে নির্মাণটি ভাঙা হয়েছে সেটি দলীয় কার্যালয় নয়', বলেই দাবি তৃণমূল ব্লক সহ সভাপতির। বড়ঞা তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সহ-সভাপতি মাহে আলম বলেন, 'যেটা দলীয় কার্যালয় নয়, এটা ভুল। কর্মসূচি অনেক জায়গাতেই পালন করি। তাবলে এই নয় দলের জায়গা হয়ে গেল।' এদিন, বিশাল পুলিশবাহিনীর উপস্থিতিতে ভেঙে ফেলা হয় অবৈধ নির্মাণ।
গতবছর, অন্য প্রেক্ষাপটে হলেও অগ্নিমিত্রার মুখে শোনা গিয়েছে বুলডোজার প্রসঙ্গ।আবাস (Awas Yojona) দুর্নীতি ইস্যুতে শোনা গিয়েছিল অগ্নিমিত্রার (Agnimitra Paul) মুখে বুলডোজার দাওয়াই। 'টাকা ফেরত না দিলে বেআইনি ভাবে পাওয়া বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক'। বুলডোজার দিয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি অগ্নিমিত্রা পালের। যোগী রাজ্যের উল্লেখ করে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেছিলেন,'নাম ঢোকানো হচ্ছে তাঁদের, যাঁদের একতলা, দোতলা, তিনতলা বাড়ি আছে। যাঁদের বাড়িতে মোটর সাইকেল আছে, ফ্রিজ আছে, চার চাকা আছে। অভিষেকবাবু জায়গায় জায়গায় গিয়ে বলছেন আমাদের বিশ্বাস করুন। আমরা স্বচ্ছতা দিয়ে সব কিছু দেখছি। এই স্বচ্ছতা? ১২ বছর কী করছিলেন? স্বরাষ্ট্র সচিব, মুখ্য সচিব বলছেন, এবার সবকিছু মেনে করতে হবে। এতদিন কী করছিলেন? যাঁরা ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বেআইনিভাবে বাড়ি পেয়েছেন তাঁরা টাকা ফেরত দিক। না দিলে যোগী আদিত্যনাথের মতো বুলডোজার দিয়ে ওই বাড়ি শেষ করা হোক। '