সন্দীপ সরকার, কলকাতা: করোনার পর এবার কলেরার ( Cholera )ভ্যাকসিন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ও নাইসেডের যৌথ উদ্যোগে দেশে প্রথমবার শুরু হতে চলেছে কলেরার ওরাল ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল! প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০ হাজার মানুষকে ডোজ দেওয়া হবে। প্রথম ডোজ পাওয়ার এক সপ্তাহ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে নিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ।  


১৯৭১-এ কলেরা যখন মহামারির আকার নিয়েছিল, সেইসময় Oral Rehydration Solution বা ORS তৈরি করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন বাঙালি গবেষক-চিকিৎসক দিলীপ মহলানবীশ।  তবে দেশের মধ্যে এবার প্রথমবার কলেরা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে মহলানবীশের বাংলা থেকেই। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা নাইসেডের যৌথ উদ্যোগে শুরু হবে এই ট্রায়াল।

দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংস্থার তৈরি করা কলেরার এই ভ্যাকসিনের নাম uvChol। এটি একটি ওরাল ভ্যাকসিন। ফলে এখানে সিরিঞ্জ অর্থাৎ সূঁচ ফোটানোর প্রয়োজন নেই।  প্রথম ডোজ নেওয়ার পর এক থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ। প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৩০ হাজার মানুষকে এই ভ্যাকসিন খাওয়ানো হবে। কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য বর্ষার আগেই দেওয়া হবে প্রথম ডোজ।

প্রস্তুতকারী সংস্থার থেকে এই ভ্যাকসিন কিনবে কেন্দ্রীয় সরকার। বছর দুয়েক আগেও, উত্তর কলকাতা ও উত্তর শহরতলির একাধিক এলাকায় কলেরা আক্রান্তদের হদিশ মিলেছিল।  উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি অঞ্চলে কলেরার সংক্রমণের জেরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল অনেককে! 
এই প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের দাবি, কলকাতা পুরসভা এলাকার, ট্যাংরা, তপসিয়া, তিলজলা, রাজাবাজার, বেলেঘাটা, পার্ক সার্কাস-সহ বেশকিছু অঞ্চলে এই ট্রায়াল হবে।

ভ্যাকসিন নির্মাতাদের দাবি, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে এই ভ্যাকসিন কলেরাপ্রবণ এলাকায় সফলভাবে মানুষকে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, বাংলায় এই ট্রায়াল সফল হলে, ওড়িশা, কর্ণাটকের মতো বাকি কলেরাপ্রবণ রাজ্যগুলোয় এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।


বিশেষজ্ঞদের মতে - 



  • কলেরা মূলত জলবাহিত ব্যাকটেরিয়া।

  • জলের থেকেই ছড়ায় এই রোগ। 

  • দূষিত খাবার থেকেও কলেরা ছড়াতে পারে।

  • কলেরার উপসর্গ, বমি ও পেট ব্যথা।


চিকিৎসকদের মতে, কলেরার কার্যকরী চিকিৎসা দ্রুত শুরু না হলে, তার পরিণাম ভয়ঙ্কর হতে পারে। কলেরা হলে তার দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন, না হলে কিডনি বিকলের মতো সমস্যা হয়।


আরও পড়ুন :


টিকা নিলেই আটকে ফেলা যায় সার্ভাইকল ক্যান্সারের ঝুঁকি, কবে নেবেন, কী নিয়ম