সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: ওয়াশিংটন নয়। এবার কলকাতায় জোড়া ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ( World Trade Centers)। বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে (Bengal Global Business Summit) স্বাক্ষরিত হল মউ (MoU)। সরকারের আশা, এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের বাণিজ্যক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়বে। বাড়বে কর্মসংস্থান। 


পাখির চোখ, শিল্পায়ন। উদ্দেশ্য, কলকাতাকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলের গন্তব্য করে তোলা। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার কলকাতায় মাথা তুলবে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। কলকাতা শহরেই তৈরি হতে চলেছে জোড়া ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র।


সপ্তম বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট বা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে স্বাক্ষরিত হল Memorandum of understanding বা MOU. প্রশাসন সূত্রে খবর, একটি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার তৈরি হবে নিউটাউনে, আর একটি নবদিগন্তে। একটি তৈরি করবে হিডকো, অন্যটি মার্লিন গ্রুপ।  পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার গোটা দেশে আছে। বম্বেতে আছে, ব্যাঙ্গালোরেও আছে। এখানেও হবে বলে জানান তিনি। 


দেশের সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্র রয়েছে মুম্বইতে। পরে এরকম বাণিজ্য কেন্দ্র তৈরি হয়েছে পুণে, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, দিল্লি এবং নয়ডাতে। এবার সেরকমই তৈরি হবে কলকাতায়। অন্যদিকে, মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্যাঙ্গালোর আইআইএসটি-র সঙ্গে। আশা, এর ফলে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আগামী দিনে স্টুডেন্ট, চিটার এক্সচেঞ্জ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার রাস্তা খুলে যাবে। 


এই চুক্তির ফলে, শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে আশা শিক্ষামহলের।


বুধবার,  বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের (Bengal Global Business Summit ) দ্বিতীয় দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কর্মসংস্থান নিয়েও মুখ খুললেন। তিনি বললেন, 'ভারতে কমেছে কর্মসংস্থান, বাংলায় বেড়েছে কর্মসংস্থান।' শুধু তাই নয়, বাংলায় ৪২ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। আর তার সঙ্গেই এদিন তাঁর মুখে বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কথা, সেই শিল্পক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের কথা। তিনি বলেন, 'আজ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের দিন। রাজ্যে ৯০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে। চর্ম শিল্প ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে।' ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি, শিল্পপতিদের সমর্থনেও সুর চড়ান তিনি। নিশানা করেছেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযান নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, শিল্পপতিদের গলা টিপে ধরছে এজেন্সি। করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া নিয়েও অভিযোগ করেন তিনি।


আরও পড়ুন: 'ভারতে কমেছে...বাংলায় কর্মসংস্থান বেড়েছে', দাবি মমতার