কোচবিহার: শহরে তৃণমূলের ভোটে 'ভাটা', ফের সরব উদয়ন গুহ (Udayan Guha Controversy)। তৃণমূল কাউন্সিলরদেরই নিশানা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর। 'কোচবিহার ও দিনহাটা শহরের অনেক ওয়ার্ডে আমরা হেরেছি। কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর সাধুর মতো ভোট করিয়েছেন। নিজেদের গায়ে যাতে কালি না লাগে, সেজন্য সাধুর মতো ভোট করিয়েছেন। পুরভোটে তাঁরা কী ভাবে গায়ের জোর না দেখিয়ে ভোটে জেতেন, দেখব' দলীয় কাউন্সিলরদের হুঁশিয়ারি উদয়ন গুহর।  


কী বলেছেন উদয়ন?
প্রকাশ্য় মঞ্চে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'কোচবিহার শহরে ভোটে হেরেছি। দিনহাটা শহরে ভোটে হেরেছি। দিনহাটা শহরে যে কমিটি রয়েছে, তারা যেমন দায়ী। দিনহাটার বাসিন্দা, আমিও দায়ী। কিন্তু সবথেকে বেশি দায়ী কয়েকজন কাউন্সিলর।' উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর অভিযোগ, 'তাঁদের নিজেদের গায়ে যাতে কালি না লাগতে পারে, সেই জন্য তাঁরা ভোটটাকে এমন ভাবে করেছেন যে 'আমরা কারও উপর কোনও রকম জোর দেখাচ্ছি না। কারও উপর কোনও রকম হুমকি দিচ্ছি না। একেবারে সাধুর মতো তাঁরা ভোট করার চেষ্টা করেছেন। ফলস্বরূপ, আমরা ২ হাজার ভোটে হেরেছি। না হলে হারতাম না।'  কাউন্সিলরদের কত জন পরবর্তী ভোটে টিকিট পাবেন, এই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে শোনা যায় তাঁকে। এর পরই উদয়নের হুঁশিয়ারি, 'যাঁরা এবার সাধুর রূপ ধরেছিলেন, আগামী পুরসভা নির্বাচনে কী ভাবে গায়ের জোর না খাটিয়ে ভোটে জেতেন, সেটিও আমাকে দেখতে হবে।' উদয়নের এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।


বিজেপির প্রতিক্রিয়া...
এই নিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের কটাক্ষ, 'এর অর্থ তাঁরা মানুষকে ভোট দিতে দিয়েছেন। দারুণ কথা। যে কথাগুলো আমরা বলতাম যে তৃণমূল মানেই চোর, সে কথা উনি নিজেই বলেছেন। বলেছেন, তৃণমূলে কয়েকজন সাধু সেজেছেন। সেজে মানুষকে ভোট দিতে দিয়েছেন। নিজেদের গায়ে কালি লাগতে দেননি।' সজলের আরও সংযোজন, 'একজন বিধায়ক ও মন্ত্রী কী ভাবে মাইক হাতে নিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে এই ধরনের মন্তব্য করছেন যে কেন ভোট লুঠ করা হয়নি, মানুষের কাছে কেন তাঁরা নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে গিয়েছিলেন? এবং তাঁরা আগামীদিনে আর টিকিট পাবেন না।  আপনি যদি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট করান, তা হলে আপনি আর আগামীদিনে তৃণমূল করতে পারবেন না। ওঁকে আমি ধন্যবাদ দেব, যে এত দিন বাদে এই কথাটা কেউ প্রকাশ্যে বলল--সাধুর মতো ভোট করিয়েছে। চোর-ডাকাতের মতো ভোট করায়নি।'


 


আরও পড়ুন:পুুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ পরিবারের, হাইকোর্টের নির্দেশে ময়নাতদন্ত ডেবরায় মৃত বিজেপি কর্মীর