ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ওয়াটগঞ্জে (Watganj) বন্দরের পরিত্যক্ত গুদামে নৃশংস হত্যার অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর ৩টি প্যাকেটে তরুণীর মাথা-হাত-পেটের একাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, বাইরে কোথাও খুন করে ফেলা হয়েছে।
নৃশংস হত্যার অভিযোগ: ওয়াটগঞ্জে মহিলার খণ্ডবিখণ্ড দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। মোট ৩ টি প্যাকেটের মধ্যে যে প্যাকেটে মাথা ছিল, সেই প্যাকেটে রাখা ছিল কংক্রিটের একটি টুকরোও। যা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, সম্ভবত দেহটি কোনও জলাশয়ে ডুবিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল আততায়ী। যাতে কাটা মাথা ভেসে না উঠে ডুবে যায়, তাই ওই প্যাকেটের মধ্যে রাখা হয়েছিল কংক্রিটের ভারী টুকরো। প্যাকেটের মধ্যে থাকা তরুণীর মাথা ছিল অবিকৃত অবস্থাতেই। মাথায় আপাতদৃষ্টিতে নেই কোনও আঘাতের চিহ্ন। কপালে ছিল টিপও। যদিও এখনও শরীরের নানান অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। দেহাংশে যে রক্ত লেগে ছিল, তাও ছিল শুকনো অবস্থায়।
কী বলছেন তদন্তকারীরা?
তদন্তকারীদের অনুমান, খুন করে সঙ্গে সঙ্গে টুকরো টুকরো করা হয়নি দেহ। যেহেতু তরুণীর মাথা এবং মুখ অবিকৃত অবস্থাতেই পাওয়া গেছে, তাই তাঁর মুখের ছবি বিভিন্ন মিসিং পার্সন পোর্টালে আপলোড করেছে পুলিশ। সেই পোর্টালগুলি মারফত তরুণীকে শনাক্ত করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এলাকায় কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ইতিমধ্যেই এসেছে পুলিশের হাতে। অজ্ঞাতপরিচয়ের নামে খুন ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে মামলা।
এর আগে গত মাসে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড ঘটে নিমতায়। খুন করা হয় ভবানীপুরের (Bhowanipore) ওষুধ ব্যবসায়ী ভাবিয়া লাখানিকে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জলের ট্যাঙ্কের নীচে বস্তাবন্দি দেহ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে রাতারাতি পাঁচিল তুলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশের জানা যায়, খুনের জন্য রীতিমতো পরিকল্পনা করে ব্যাট ও উইকেট কিনে আনেন ব্যবসায়ীর বিজনেস পার্টনার। কিছু টাকা ফেরত দেওয়ার টোপ দিয়ে ব্য়বসায়ীকে নিমতার বাড়িতে ডাকেন অভিযুক্ত। এরপর উইকেট দিয়ে পিটিয়ে খুন করেন ব্যবসায়ীকে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Bowbazar House Collapse: বউবাজারে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে বিপর্যয়, কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরব স্থানীয়রা