কলকাতা: বর্ধমান থেকে বেরনোর পথে আঘাত পেয়েছিলেন। সেই অবস্থাতেই কলকাতায় ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে বাড়ি বা হাসপাতালে না গিয়ে, সটান রাজভবন পৌঁছলেন। সেখানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করলেন। হঠাৎ কেন রাজভবনে পৌঁছলেন তিনি, কী নিয়ে বৈঠক চলছে, তা জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। তবে আচমকা এই সাক্ষাৎ ঘিরে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। রাজভবন বা নবান্নের তরফে এই সাক্ষাৎ নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। (CV Ananda Bose)


এদিন বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় যোগ দিতে যান মমতা। সেখান থেকে ফেরার পথে আঘাত পান তিনি। কনভয়ের মধ্যে হঠাৎ ঢুকে যায় পুলিশের গাড়ি। সেই সময় গাড়ির সামনে, চালকের আসনে বসেছিলেন তিনি। চালক আচমকা ব্রেক কষলে মাথায় এবং হাতে আঘাত পান তিনি। ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি সামনে আসছে, তাতে রুমাল দিয়ে মাথা চেপে ধরে থাকতে দেখা গিয়েছে মমতাকে। সেই অবস্থাতেই যদিও কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় তাঁর কনভয়। 


এর পর সন্ধেয় কলকাতায় ফিরেই সটান রাজভবনে ঢুকে যান মমতা। সেখানে রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। জানা গিয়েছে, মমতা চোট পেয়েছেন জানতে পেরেই এদিন রাজভবনের তরফে তাঁর স্বাস্থ্যের খবর নেওয়া হয়। তবে সেই কারণেই তিনি রাজভবনে গিয়েছেন, নাকি নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে জানা যায়নি। তবে আগামী ২৬ জানুয়ারি উপলক্ষে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানাতে অথবা ৫ ফেব্রুয়ারি যেহেতু বিধানসভার অধিবেশন, সেই নিয়ে দু'জনের মধ্যে কথা চলছে বলেও মনে করা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বর্ধমানে আহত মুখ্যমন্ত্রী, আঘাত পেলেন মাথায়


বর্ধমান থেকে ফেরার সময় আবহাওয়া খারাপ থাকায়, বৃষ্টি হওয়ায় হেলিকপ্টার উড়তে পারেনি। ফলে গাড়িতে চেপেই ফেরার রাস্তা ধরেন মমতা। সেই সময়ই আঘাত পান তিনি। জানা গিয়েছে, সভামঞ্চ থেকে ২০০ মিটার দূরে, গাড়ি যখন জিটি রোডে উঠছে, সেই সময় অন্য দিক থেকে একটি গাড়ি  তাঁর কনভয়ে হঠাৎই  ঢুকে পড়ে।  আচমকা ব্রেক কষায় মাথার পাশে চোট পান। হাতেও সামান্য চোট পান। সঙ্গে সঙ্গে কনভয় দাঁড়িয়ে যায়। একটু ধাতস্থ হয়ে ফের কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়। তিনি কেমন আছেন, হাসপাতালে যাওয়ার কথা ভাবছেন কিনা, জানতে চাওয়া হয় রাজভবনের তরফে।


ঘটনাচক্রে এদিনই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকেই তাঁর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ চলে পড়ুয়াদের। রাজ্যপালের উদ্দেশে উড়ে আসে 'গো ব্যাক' স্লোগানও। কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান পড়ুয়ারা। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের উদাসীন বলেও দাবি করেন তাঁরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং DSO এই বিক্ষোভে শামিল ছিল বলে জানা যায়। বেশ কিছু ক্ষণ তার জেরে আটকে পড়েছিলেন রাজ্যপাল। পরে ভিতরে ঢোকেন।