শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: এবারের মাধ্যমিকে জেলার জয়জয়কার। প্রথম দশের মেধা তালিকায় রয়েছে ১১৪ জন পরীক্ষার্থীর নাম। তার মধ্যে শুধু কোচবিহারেই রয়েছে ১৩ জন। আর জেলায় ওই ১৩ জনের মধ্যে ৬ জনই একটি স্কুলের। স্কুলের নাম দিনহাটা গোপালনগর এমএসএস হাই স্কুল।
ফল প্রকাশের পরেই উচ্ছ্বাস:
যখন ফলপ্রকাশের হচ্ছে। সেই সময় টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখেছিলেন স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে ছাত্র-অভিভাবকরা। মেধাতালিকার ঘোষণা শেষ হতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন সকলে। একজন-দুজন নয়। ৬ জন। এই স্কুল থেকে এই বছরে ৬ জন পড়ুয়া মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন। মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া দিনহাটার এই বিখ্যাত স্কুলের জন্য নতুন কিছু নয়। এর আগেই এই স্কুল থেকে একাধিকবার মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে পড়ুয়ারা। কিন্তু একসঙ্গে ছয়জন? নাহ, সাম্প্রতিক কালে এমন হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না দিনহাটার শিক্ষক-শিক্ষানুরাগীরা।
কারা কারা মেধাতালিকায়?
মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছে দেবদত্ত কুণ্ডু ও ধ্রুবজিৎ সাহা। সপ্তম স্থান অধিকার করেছে অনন্যা দেব ও সৃজিতা মজুমদার। মেধাতালিকায় অষ্টমে নাম রনি বর্মনের। দশম হয়েছে সায়ন্তিকা বর্মন।
কীভাবে এল সাফল্য?
শিক্ষক-পড়ুয়ারা বলছেন ধারাবাহিকতাই এর মূল কারণ। এই ব্যাচের পরীক্ষার আগে লকডাউনের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল। সব খুলে গেলেও স্কুলের পরিস্থিতি আগের মতো হতে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছে। কিন্তু দিনহাটা গোপালনগর এমএসএস হাই স্কুলে পড়াশোনার গতি বন্ধ হয়নি। স্কুলের তরফ থেকে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করা হয়েছে। সবাই ঠিকমতো পড়া বুঝতে পারছে কিনা, সেই খেয়াল রাখা হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির দিকেও খেয়াল রাখা হয়েছে নিয়মিত। অনলাইনেই প্রস্তুতি-পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছে। ফলে ছাত্রছাত্রীরা স্কুল বন্ধের অভাব বুঝতে পারেনি বলে জানাচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ আক্কাস আলি। তিনি বলেন, 'এই ধরনের ফলাফল আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। এরপরে যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে এই স্কুল তাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।'
দেবদত্ত, সৃজিতা, অনন্যা, রনি- স্কুলের সব কৃতীরাই স্কুলের এই সহযোগিতার কথা বারবার বলেছে। এদিন ফল প্রকাশের পর চলে মিষ্টি বিলি, ছয় ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে দিনহাটা শহরে বের হয় শোভাযাত্রাও।
আরও পড়ুন: রৌনক-সৌনক, মেধাতালিকায় জোড়া সাফল্য বর্ধমান সিএমএসের ; কী বলছেন প্রধান শিক্ষক ?
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI