কলকাতা: যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রেই তার প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তুতির কৌশলের জোরেই অনেক সময় অসাধ্য সাধন ঘটে। যার নজির রয়েছে WBCS-এর মতো পরীক্ষাতেও। WBCS- প্রিলিমিনারিতে প্রশ্নপত্র MCQ থাকে। ২০০ নম্বরের প্রশ্নপত্রের মধ্যে  ইতিহাসে মোট ৫০ নম্বর থাকে, ভূগোলে ২৫ থাকে, সায়েন্সের জন্য বরাদ্দ ২৫, পলিটি এবং ইকোনমিতে ২৫ থাকে, ইংরেজি ২৫, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সে রয়েছে ২৫ এবং অঙ্ক ও জিআই-তে বরাদ্দ ২৫। এই MCQ-এর ক্ষেত্রে বেশ কিছু কৌশল থাকে। কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে? বিষয়ভিত্তিক কৌশল কী হবে? পরীক্ষার অচেনা প্রশ্ন এলেই বা কী করণীয়?  এমনই নানা প্রশ্ন থাকে ছাত্রছাত্রীদের মনে। এবিপি লাইভে MCQ সংক্রান্ত এই সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন নির্মাল্য পাল। যিনি বর্তমানে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে ডিস্ট্রিক্ট এমপ্লয়িমেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত।


MCQ-র জন্য কীভাবে প্রস্তুতি: এক্ষেত্রে বইটা খুব ভাল করে পড়তে হবে। MCQ- তে ভুল হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই বই পড়ার সময় খুঁটিয়ে পড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পড়া শেষ হলে প্রতিটি অধ্যায় ধরে MCQ সমাধান করতে হবে। বাজারে যেসব বই পাওয়া যায় সেখান থেকে সমাধান করা যেতে পারে। পূর্ববর্তী বছরের প্রিলিমস আর মেনসের প্রশ্নপত্র সমাধান করা যায়। প্র্যাক্টিসের জন্য অনলাইনে যেসব অ্যাপ থাকে তার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। অধ্যায় ভিত্তিতে MCQ  সমাধান করার পর গোটা বিষয়ের একটা MCQ পেপার সমাধান করা যায়। MCQ- এর ক্ষেত্রে ঘুরিয়ে প্রশ্ন আসে, সেবিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।


কৌশলগত পদ্ধতি: কৌশলগত পদ্ধতি তখনই কাজে আসবে যখন সংশ্লিষ্ট সম্পর্কে পড়ুয়ার ধারণা তৈরি হবে। যেমন অপশন এলিমিনেশন মেথড। সাধারণত চারটে অপশন থাকে। পরীক্ষার সময় একাধিক অপশন থাকায় কনফিউশন হয়। এক্ষেত্রে পড়ার সময় মাইন্ড ম্যাপ ব্যবহার করতে হবে। কোনও প্রশ্নের সঙ্গে নিজের সুবিধা মতো কোনও বিষয়কে মাথায় রাখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, পড়ার সময় কোনও অংশ বাদ চলে গিয়েছে, কিন্তু MCQ সমাধানের ক্ষেত্রে সেই অংশ পাওয়া গেল। সেটা আলাদা করে লিখে রাখলে রিভিশনের সময় সুবিধা হবে।


বিষয় ভিত্তিতে কৌশল: পরীক্ষার সময় প্রশ্ন খুঁটিয়ে পড়তে হবে। আর এই অভ্যাসটা করতে হবে প্রস্তুতি পর্বেই। ধরা যাক প্রশ্ন এল, এর মধ্যে কোন বিষয়টা রাজ্যের আওতাভুক্ত নয়? হয়ত এই নয় শব্দটা কারোর চোখ এড়িয়ে গেল। তাতে  কিন্তু ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রস্তুতি পর্বে শুধু বিষয় নয়, প্রত্যেকটি অধ্যায় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। যেমন পলিটির ক্ষেত্রে ধারার বড় ভূমিকা থাকে। প্রত্যেকটা পয়েন্ট করে পড়া যেতে পারে। অনেক সময় কোনও তারিখ নিয়ে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে লজিক্যাল থিঙ্কিং দিয়ে পড়লে মনে রাখার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। এটা কৌশল সবসময় ব্যক্তিবিশেষে পার্থক্য থাকবে। তবে পথটা একই। ইতিহাসের ক্ষেত্রে কোনও টপিকের ক্রোনোলজি তারিখের ভিত্তিতে সাজিয়ে নিলে সুবিধা হয় মনে রাখতে। এক্ষেত্রে টাইমলাইন তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে।


অচেনা প্রশ্নের ক্ষেত্রে পদ্ধতি: চেনা প্রশ্নের সমাধান সব সময় আগে করা উচিত।  MCQ-র ক্ষেত্রে তিনটে ভুলে এক নম্বর কাটা যায়। এরকম যদি হয় চারটে অপশনের মধ্যে কোনওটাই চেনা লাগছে না, তাহলে সেই প্রশ্নের উত্তর না লেখাই ভাল। অচেনা কোনও প্রশ্নের দুটো অপশন এলিমিনেট করার মতো জায়গায় থাকলে তবেই অ্যাটেন্ড করা ভাল। সেক্ষেত্রে ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ থাকে। তবে চান্স কিন্তু নিতেই হবে। এটাই পড়ার এবং পরীক্ষার ক্ষেত্রে কৌশল।


আরও পড়ুন: WBCS Exam Preparation: একশো শতাংশ নিশ্চিত হয়েই উত্তর লেখার পরামর্শ, WBCS-এ ইংরেজির প্রস্তুতি কীভাবে?


 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI